নিজস্ব প্রতিনিধি, উখিয়া | মঙ্গলবার, ১৯ জুন ২০১৮
উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের শীর্ষস্থানীয় নেতা (হেড মাঝি) আরিফ উল্লাহ (৩৫) হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিয়ে পুরো ক্যাম্প এলাকায় বিরাজ করছে আতংক, উত্তেজনা, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। এ হত্যাকান্ড নিয়ে রোহিঙ্গাদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য উপাত্ত পাওয়া গেলেও সঠিক রহস্য প্রকাশে কেউ মূখ খুলছেনা। ময়না তদন্ত শেষে মঙ্গলবার টেকনাফে অবস্থানরত তার আত্মীয়স্বজনেরা আরিফ উল্লাহর লাশ নামাজে জানাযা শেষে দাফন করেছে। মঙ্গলবার বালুখালী এলাকা ঘুরে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গার সাথে কথা বললে তারা জানায়, এটা তাদের অভ্যান্তরিণ কোন্দল। এ ঘটনা নিয়ে ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের মাঝে ভয়ভীতির সঞ্চার হয়েছে। অনেকেই আতংকে রাত যাপন করছে। তবে পাশ^বর্তী ব্লকের আবু তাহের মাঝি জানান, আরিফ উল্লাহ মিয়ানমারের তাদের পারিবারিক অবস্থা ভাল ছিল বিধায় সে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করেছে।
এখানে আসার পর থেকে সে বিভিন্ন এনজিও কর্তৃপক্ষ ও বিদেশীদের সাথে তার ছিল নিভীড় সম্পর্ক। এ সুবাধে আরিফ উল্লাহ ত্রাণ সামগ্রী একটি অংশ নিজেই ভোগ করে আসছিল দীর্ঘদিন থেকে এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষরা তাকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করেছে। আবার না প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই জানান, আরিফ উল্লাহ মিয়ানমারের ফিরে যেতে রোহিঙ্গাদের উৎসাহিত করেছে। তার প্রেক্ষিতে মিয়ানমারের বিদ্রোহী সংগঠন আরসার সদস্যরা তাকে হত্যা করেছে। উল্লেখ্য যে, সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আরিফ উল্লাহ সিএনজি যোগে তার নির্ধারিত স্থানে যাওয়ার পথে বালুখালী ১১ নং ক্যাম্পের সি ব্লক এলাকায় সড়কে দুর্বৃত্তরা সিএনজি অবরোধ করে এলোপাতাড়ী ছুরিকাঘাত করলে ঘটনাস্থলে আরিফ উল্লাহ মারাযায়। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের বলেন, আরিফ উল্লাহ হত্যাকান্ডের ব্যাপারে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। তবে মঙ্গলবার বিকেলে টেকনাফে তার নামাজে জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
Posted ১০:১৯ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৯ জুন ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh