নিজস্ব প্রতিবেদক, টেকনাফ | | শুক্রবার, ১০ এপ্রিল ২০২০
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ সীমান্তে দেড় শতাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা নিস্ফল করে দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ও স্থানীয় লোকজন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে খবর আসে রোহিঙ্গাদের একটি দল পালংখালী ইউনিয়নের আঞ্জুমানপাড়া ও টেকনাফের উলুবনিয়া এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেরে চেষ্টা করছে, তাই মসজিদে মাইকিং করে স্থানীয়দের সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। এরপর থেকে সীমান্তে টহল বৃদ্ধি করে বিজিবি। পাশাপাশি সেখানকার জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় লোকজন পাহারা বসিয়েছে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে। কেননা খবর ছিল অনুপ্রবেশকারিদের মধ্যে অনেকে করোনা আক্রান্ত ছিল।
শুক্রবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ বলেন, ‘সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের খবরে বেশ কয়েকটি পয়েন্টে নজরদারি ও টহল বাড়ানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত সীমান্তে কোন অনুপ্রবেশেকারি চোখে পরেনি। তবে নতুন করে কোন অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে না পারে আমরা সর্তক অবস্থানে রয়েছি। ’
পুরোপুরি নিশ্চিত বিজিবির টহল ও স্থানীয়রা পাহারা না দিলে রোহিঙ্গাদের দলটি বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতো, এমন মন্তব্য পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সীমান্তে বিজিবি ও স্থানীয় লোকজন সর্তক না থাকলে, এতক্ষনে রোহিঙ্গাদের দলটি বাংলাদেশে ঢুকে যেতো। বিজিবি যথেষ্ট কষ্ট করেছে, সারা রাত পাহারা দিয়েছে। এমন বিজিবির সিও নিজে উপস্থিত ছিলেন। আমাদের পাহারা এখনো অব্যাহত রয়েছে। কেননা রোহিঙ্গাদের একটি দল বাংলাদেশে ঢুকতে ওপারে অপেক্ষায় করছিল সেটি নিশ্চিত।’
উখিয়ার পালংখালী আঞ্জুমানপাড়ার ইউপি সদস্য সুলতান আহমদ বলেন, ‘রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তের কাছাকাছি গভীর রাত পর্যন্ত পাহারা দিয়েছি। ফলে এপারের বিজিবি ও স্থানীয়দের তৎপরতা দেখে অনুপ্রবেশকারি দল হয়তো সেদিকে ফিরে গেছে। দলটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে শামলা খাল নামক এলাকায় অবস্থান করছে। তবে তারা সুযোগ বুঝে যে-কোন মূর্হতে ঢুকতে পারে। ফলে আমরা সর্তক অবস্থানে রয়েছি বলে জানিয়েছেন এই জনপ্রতিনিধি।
টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক (অপারেশন) মেজর রুবায়াৎ কবীর বলেন, ‘রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের খবরে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থানে রয়েছে। তাছাড়া সীমান্ত এলাকা বিশাল, তাই স্থানীয়দেরও সর্তক থাকার আহবান জানান।’
প্রসঙ্গত, উখিয়ার আঞ্জুমানপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২০১৭ সালে ২৫ আগস্ট পর দলে দলে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছিল। তারা এখন উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রয়েছে। বর্তমানে কক্সবাজারের ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে।
Posted ৭:৪৯ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১০ এপ্রিল ২০২০
dbncox.com | ajker deshbidesh