দেশবিদেশ অনলাইন ডেস্ক | মঙ্গলবার, ০৩ জুলাই ২০১৮
মাদক মামলার চার্জশিট থেকে একজন ইয়াবা কারবারির নাম থেকে বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি (উপ-মহাপরিদর্শক) এসএম মনির-উজ-জামান, রামু থানার ওসি লিয়াকত আলী ও সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আদালত। এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার (৩ জুলাই) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মুশফিক উদ্দিন বখতিয়ার ও জুলফিকার আলী ভুট্টো। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরোয়ার কাজল। পরে জাহিদ সরোয়ার কাজল আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত ১১ জুন একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ইয়াবা কারবারির পাশে ডিআইজি!’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়।
প্রতিবেদনের প্রথম অংশে বলা হয়, মাদকের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে চলছে জোরদার অভিযান। ইয়াবা কারবারি ও তাদের নেপথ্য জোগানদাতাদের হন্যে হয়ে খুঁজছে র্যাব-পুলিশ। সাধারণ মানুষও তাই মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন মাদকের বিরুদ্ধে তার জিরো টলারেন্সের কথা। এই যখন অবস্থা, তখন বিশেষ সখ্যের কারণে এক ইয়াবা কারবারির নাম মাদক বিষয়ক একটি মামলার চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়ার খোদ পুলিশেরই এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘যার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ, তিনি চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি (উপমহাপরিদর্শক) এসএম মনির-উজ-জামান। আর অভিযোগকারী তারই রেঞ্জভুক্ত কক্সবাজারের রামু থানার ওসি লিয়াকত আলী। আর যাকে মামলার চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, তার নাম জিএম ছারোয়ার। তিনি ঢাকার সদরঘাট তেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এবং বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ভিসিভোয়া) সাংগঠনিক সম্পাদক। এর আগে ২০১১ সালের ২০ ডিসেম্বর কক্সবাজারের কলাতলী ট্যুরিস্ট জোনে অবস্থিত বে-ভিউ আবাসিক হোটেলের ৩০৩ নম্বর কক্ষ থেকে ৩২ পিস ইয়াবাসহ তিনি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ২ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ডিআইজি (উপমহাপরিদর্শক) এসএম মনির-উজ-জামানকে চট্টগ্রাম রেঞ্জ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরের টিআর (ট্রেনিং রিজার্ভ) পদে বদলি করা হয়। ইয়াবা কারবারির সঙ্গে বিভিন্ন প্রকার সম্পর্কের নানা অভিযোগে তাকে প্রত্যাহার করা হয়।
Posted ৯:৫১ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৩ জুলাই ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh