বার্তা পরিবেশক | শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরে পূর্বশত্রুতার জের ধরে হত্যার উদ্দেশ্যে জামাই শ্বশুরকে কুপিয়ে যখম করার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় নারীসহ আরো কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
আহতরা হলেন, শামলাপুর নয়াপাড়া আছারবনিয়া এলাকার জাফর আহমদের ছেলে সালামত উল্লাহ (২৫), মৃত সালামত উল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ সালাম (৪৫), তার স্ত্রী গুলবাহার (৩৮) মেয়ে ছেনুয়ারা বেগম (২৪) ও শামসুন নাহার (২০)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দেড় মাস আগে ছোট বাচ্চাদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে শামলাপুর নয়াপাড়া আছারবনিয়ার এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে হামিদের পরিবারের সঙ্গে মোহাম্মদ সালামের মনোমালিন্য হয়। এনিয়ে স্থানীয়ভাবে বিচার সালিশও চলমান রয়েছে। ওই ঘটনার জেরে হামিদের পরিবার প্রতিদিন মোহাম্মদ সালামের পরিবারের সদস্যদের গালিগালাজ ও হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। গত বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে প্রতিদিনের মতো হামিদ ও তার স্ত্রী মোহাম্মদ সালামের স্ত্রী ও মেয়েদের গালিগালাজ করছে। এসময় মোহাম্মদ সালামের পরিবারের সদস্যের আর সহ্য না হয়ে পাল্টা গালি দিলে এক পর্যায়ে হামিদ ও তার পরিবারের সদস্য নুরুল ইসলাম মাঝি (৪৮), লায়লা বেগম (৪০), নুরুল ইসলামের ছেলে নুরাইয়া (২০), মেয়ে রুনা বেগম (২৭), হামিদের স্ত্রী নুর কলিমা (২৩), মোক্তার বেগম (১৮) সহ বেশ কয়েকজন দা, কিরিচ, লাঠিসোটা নিয়ে মোহাম্মদ সালামের বাড়িতে এসে হামলা চালায়। এসময় তার স্ত্রী গুলবাহার ও মেয়ে শামসুন নাহার এবং ছেনুয়ারা বেগমকে টেনে হিঁচড়ে হামলাকারীদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বেদড়ক মারধর ও নির্যাতন করে। মাথার চুল ছিঁড়ে ফেলে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে। এক পর্যায়ে শামসুন নাহারের মাথায় লাঠির আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেয়।
হামিদ হোসেন, নুরুল ইসলাম মাঝি ও তার ছেলে নুরাইয়া মিলে মোহাম্মদ সালামের হাতের কব্জির রগ কেটে দেয়। বেদড়ক মারধর ও মাথায় লাঠির আঘাত করে। এবং হামিদ হোসেন সালামত উল্লার বুকে ও পিঠে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে রক্ত ও জখম করে। এমনকি সালামতের হাতের আঙুল কেটে দেয়।
ভুক্তভোগী মোহাম্মদ সালাম অভিযোগ করে বলেন, ‘হামলার পরিকল্পনাকারী ওই এলাকার নিয়ামত উল্লাহর ইন্ধনে এসব হয়েছে। হামলার সময় আমার কাছে থাকা ব্যবসায়িক কাজের ২৫ হাজার টাকা, এবং সালামত উল্লাহর কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা কেড়ে নেয় হামলাকারীরা। এছাড়াও আমার মেয়ে শামসুন নাহারের কাছ থেকে স্বর্ণের চেইন, কানের দুলসহ ১ ভরি স্বর্ণ এবং ছেনুয়ারা বেগম থেকে ১২ আনা ওজনের স্বর্ণের কানের দুল কেড়ে নিয়ে ফেলে তারা।’
প্রতিবেশীরা আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে মোহাম্মদ সালাম ও সালামত উল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
Posted ৪:০৩ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
dbncox.com | Bijoy Kumar