আব্দুল্লাহ আল ফরহাদ | মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪
জেলা প্রশাসনের সমুদ্র সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির দায়িত্বরত পর্যটন ম্যাজিস্ট্রেট এর আয়োজনে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে মাসব্যাপী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে।
১১ মার্চ সকাল ৯ টার দিকে সুগন্ধা বীচ পয়েন্টে এ কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়। এতে বীচকর্মী, সেচ্ছাসেবী সংগঠন ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহন করেন। এদিকে সৈকতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান হলেও বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটিকে নিয়ে উঠেছে নানান প্রশ্ন। সচেতন মহলের অনেক পর্যটন উদ্যোগতা বলছে, পর্যটন জোন একটি বিশাল এলাকা। সেন্টমার্ন্টিন, ইনানী বীচ, কলাতলী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট ও লাবনী বীচে বীচকর্মী থাকলেও জেলা প্রশাসনের লোকবল সংকটের কারনে নেই অনেক পয়েন্টে বীচকর্মী। পাশাপাশি উচ্ছেদ অভিযানের কাজে ব্যবহৃত করার মত নেই সঞ্জাম।
পর্যটকদের অভিযোগের বিষয়ে বালিয়াড়িতে চলার মতো নেই যানবাহন। একইভাবে সাগরে পানিতে ভেসে যাওয়া পর্যটকদেরও উদ্ধার অভিযানে নেই জেলা প্রশাসনের স্পিট বোড। পর্যটন খ্যাতে এসব পরিপূর্ণ থাকলে যে কোন সময় দ্রুত সেবা পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন অনেকে।
প্রথম দিন অভিযানে অংশ নেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. নাসিম আহমেদ, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) মো. মাসুদ রানা, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি কক্সবাজার ভাইচ চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন দুলাল, কক্সবাজার বীচবাইক মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সভাপতি আনুয়ারুল ইসলাম হিরো, সহ-সভাপতি শেখ মোহাম্মদ রাসেল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক ও তাদের সমিতির ৮০ জন সদস্য। সুগন্ধা ঝিনুক ক্ষুদ্র্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি নুরুল হুদা গুরা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেনসহ তাদের ৭০ জন সদস্য, কক্সবাজার বীচ ঝিনুক ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সভাপতি মো. রুবেল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিমসহ ৬০ জন সমিতির সদস্য, সীগাল পয়েন্টে ঝিনুক ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি জালাল আহম্মদ, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুরাদসহ ৪০ জন সমিতির সদস্য। মেহেদী মাকের্টের সভাপতি নজরুল ইসলাম নজু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, উপদেষ্টা মাছনসহ ৫০ জন সমিতির সদস্য ও হোটেল মোটেল জোনের একাধিক টিম এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ্র গ্রহন করেন।
এ ছাড়া অভিযানে এলাকার সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক, সৈকতের কর্মী ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লোকজন অংশ নেন। পাশাপাশি আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁর সামনে ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য শতাধিক ঝুড়ি স্থাপন করা হয়েছে। এ অভিযান নিয়মিত চলবে বলে জানিয়েছেন এই পর্যটন ম্যাজিস্ট্রেট।
জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) মো. মাসুদ রানা বলেন, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটকের সুবিধার্থে সৈকত এলাকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পাশাপাশি ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার জন্য সারাদিন আবাসিক হোটেল ও রেস্তোঁরা মালিকদের কাছে গিয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়। অভিযানে সড়কে অবৈধ পার্কিন করায় ৪ টি বাসকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
একই সাথে শতাধিক ঝুড়ি স্থাপন করা হয়েছে। এতে এলাকার পরিবেশ পরিচ্ছন্ন থাকবে। এ পরিচ্ছন্নতা অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো বলেন, পর্যটন জোন বিশাল এলাকা। অনেক পয়েন্টে বীচকর্মী থাকলেও লোকবল সংকটের কারনে অনেক সময়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
পাশাপাশি উচ্ছেদ অভিযানের কাজে ব্যবহৃত নেই সঞ্জাম, পর্যটকদের অভিযোগের বিষয়ে বালিয়াড়িতে চলার মতো নেই যানবাহন। একইভাবে সাগরে পানিতে ভেসে যাওয়া পর্যটকদেরও উদ্ধার অভিযানে নেই নিজস্ব স্পিট বোড। পর্যটন খ্যাতে এসব দ্রুত সময়ে পরিপূর্ণ হবে ও পর্যটকরাও দ্রুত সেবা পাবে।
Posted ৩:৪৫ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪
dbncox.com | Bijoy Kumar