শফিক আজাদ,উখিয়া | মঙ্গলবার, ২৬ জুন ২০১৮
উখিয়া উপজেলার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন গ্রামাীন সড়ক উন্নয়নের নামে গত ৫ মাস আগে রাস্তা কুড়াকুড়ি,যত্রতত্র মাটি ও নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রেখে ঠিকাদার উধাও হয়ে যাওয়ার কারনে অসহনীয় জনদুর্ভোগে পড়েছে ডেইলপাড়া, পূর্বডিগলিয়া, করইবনিয়া, চাকবৈঠা, গয়ালামারা, টাইপালং, দুছড়ি, হাজিরপাড়া, মাইল্লারকূল, খয়রাতি পাড়া ও মৌলভী পাড়া সহ প্রায় ১২টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। অবিলম্বে উক্ত গ্রামীন সড়ক গুলোর উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করা না হলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় এলাকাবাসি। উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, প্রায় ৪কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দে রাজাপালং ইউনিয়নের ৩টি ও রতœাপালং ইউনিয়নের ১টি সহ ৪টি ব্রিক সলিন সড়ক থেকে কার্পেটিং সড়কে উন্নতি করণের লক্ষ্যে প্রায় ৮মাস আগে প্রকাশ্যে দরপত্র আহবানের মাধ্যমে সর্বনি¤œ দরদাতা ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ৫মাস আগে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এসব সড়কের ভাঙ্গাচুড়া ইট গুলো তুলে নিয়ে যায় এবং সড়ক থেকে ২ফুট গর্ত করে মাঠি কুড়ে ফেলে ঠিকাদার উধাও হয়ে যায়। চলতি বর্ষা মৌসুমে এসব সড়কের বৃষ্টি পানি কাদা মাটিতে একাকার হয়ে যাওয়ার কারনে জিম্মি হয়ে পড়েছে ১২টি গ্রামের লক্ষাধিক। কিছু কিছু লোকজন বিকল্প পথে উখিয়া সদরের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হলেও বৃহত্তর গ্রামবাসি ঘরবন্ধি হয়ে মানবেতর দিন যাপন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রতœাপালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল কবির চৌধুরী সাংবাদিকদের অভিযোগ করে জানান, কাজ শুরু করে ফেলে রাখার কারনে যানবাহন চলাচলতো দুরের কথা স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা পড়–য়া ছাত্র/ছাত্রীরা পায়ে হেটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করতে পারছেনা। স্থানীয়দের উৎপাদিত কৃষি পণ্য যথাসময়ে বাজারজাত করনে ব্যর্থ হওয়ায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ আর্থিক সংকটে পড়েছে। তিনি বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে বার বার অবহিত করার পরও সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি বলে জানান। রাজাপালং ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মীর সাহেদুল ইসলাম চৌধুরী রোমান জানান, পশ্চিম ডিগলিয়া থেকে ডেইলপাড়াপাড়া আড়াই কিলোমিটার ইট বিছানো রাস্তা কুড়ে ফেলে জনচলাচলের বাধা সৃষ্টি করা সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিধি সম্মত কাজ হতে পারেনা। সড়ক দুর্ভোগে সরজমিন দেখে সংশ্লিষ্ঠদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। উখিয়া বাজার হয়ে হাজিরপাড়া দুছড়ি সড়কের একই অবস্থা। একটু বৃষ্টি হলে রাস্তার উপর কোমর পানিতে সয়লাব হয়ে পড়ার কারনে এলাকার মানুষকে গৃহবন্ধি অবস্থায় দিন কাটাতে হয়। হাজির পাড়া গ্রামের বুজুরুজ মিয়া জানান, তার জীবনে এরকম উন্নয়ন কাজ দেখেনি। চলাচলের একটি সড়ককে কুড়াকুড়ি করে উন্নয়নের নামে জন চলাচলের বিঘœ সৃষ্টি করে জনদুর্ভোগ তৈরী করার জন্য সংশ্লিষ্ঠদের দায়ভার বহন করতে হবে। সড়ক যোগাযোগের করুণ পরিনতির ঘটনায় আগামী জাতীয় নির্বাচনে সরকারি দলের উপর প্রভাব পড়তে পারে বলে দাবী করে ওই নেতা বলেন এলাকাবাসি প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে অভিযোগ করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে । সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদার, (অব:) উপজেলা সহকারি প্রকৌশলী আশরাফ আলী সাথে সড়ক উন্নয়ন কাজের দীরগতি ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, রাস্তায় বালু ফেলা হচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল আলিম লিটন সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদারদের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, তাদেরকে দ্রুত কার্পেটিং কাজ সম্পন্ন করার জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
Posted ১২:১৩ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৬ জুন ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh