দেশবিদেশ রিপোর্ট | বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০১৯
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কক্সবাজার কেন্দ্রিক এখন রমরমা মন্তব্যে ফাটাফাটি অবস্থা কেবল কক্সবাজার জেলা সদরের আড়াইশ শয্যার সরকারি হাসপাতালটি নিয়ে। কে কোন ধরণের মন্তব্য করছে তার যেন ইয়ত্তা নেই। তবে একটি স্থানে মন্তব্যকারিরা যেন সবাই এক স্থানে অবস্থান করছেন। আর তা হচ্ছে সরকারি হাসপাতালে একের পর এক ঘটনার মাধ্যমে অচলাবস্থা সৃষ্টির নেপথ্যে একটি চক্র কাজ করছে। কারও কারও মতে-রিতীমত সাবোটাজ করা হচ্ছে। পরিকল্পিত ভাবেই সৃষ্টি করা হচ্ছে এমন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কক্সবাজার জেলা শহরে বর্তমানে ১২ টি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। এসব বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিটিতেই রয়েছে নিজস্ব ডায়গোনিষ্টিক সেন্টার। সেই সাথে রয়েছে পৃথক ১৫ টি বেসরকারি ডায়গোনিষ্টিক সেন্টার। অপরদিকে জেলা শহরের একটি মাত্র রয়েছে আড়াইশ শয্যার সরকারি হাসপাতালটি।
অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়গুলোতে কক্সবাজারে চিকিৎসা সেবা খাতের বাজারটিতে রমরমা ভাব চলে আসছে। সেই সাথে রয়েছে রোহিঙ্গা বাজার। এ কারনেই বেসরকারি খাতের চিকিৎসা সেবাও রয়েছে এগিয়ে। সেই সাথে আড়াইশ শয্যার সরকারি হাসপাতালটিতেই সবচেয়ে বেশী রোগির ভীড় থাকে।
সরকারি হাসপাতালে কোন না কোন ভাবে সমস্যার সৃষ্টি করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত অবস্থা জিঁইয়ে রাখা হলে রোগির ভীড়ের ¯্রােত যায় বেসরকারি চিকিৎসা সেবার দিকে। তখন বেসরকারি হাসপাতালগুলোর ভীড় বেড়ে যায়। গত ক’দিন আগের টানা ৪ দিনের আড়াইশ শয্যার হাসপাতালের অচলাবস্থা চলাকালীন সময়ে এরকম একটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছিল আজকের দেশবিদেশ পত্রিকার এক প্রতিবেদনে।
ফেসবুকে গতকাল মঙ্গলবারের একদিনের মন্তব্যকারিদের মন্তব্যগুলোতেই দেখা যায়-মন্তব্যকারিরা এরকমই সন্দেহ করছেন যে-বেশীর ভাগ চিকিৎসকরাই রয়েছেন বেসরকারি হাসপাতাল এবং ডায়গোনিষ্টিক সেন্টারের মালিকানায় জড়িত। তাই তাদের সেবার ব্যবসা চাঙ্গা করতেই সরকারি হাসপাতালের প্রতি রোগিদের বিমুখ করার জন্যই কলা-কৌশল নিয়ে এ ধরণের পরিস্থিতি সৃষ্টিতে ইন্ধন দিচ্ছেন-এরকমই সন্দেহ মন্তব্যকারিদের।
ওদিকে চিকিৎসকদের সংগটন নিয়েও রয়েছে নানা বিরোধ। এসব বিরোধের জের ধরেই এরকম ইন্ধন দেয়া হচ্ছে বলেও অনেক মন্তব্যকারি মনে করেন। সর্বশেষ শাহেদ মিজান নামের একজন ফেসবুক আইডিধারি তার মন্তব্যে লিখেছেন-‘পেশায় প্রবেশের আগে ডাক্তারদের মানবিক কোর্স করানো হোক।’
Posted ১:২৭ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০১৯
dbncox.com | ajker deshbidesh