দেশবিদেশ অনলাইন ডেস্ক | রবিবার, ১০ জুন ২০১৮
দেশে স্ট্রোকে মৃত্যুহার বাড়ছে। বর্তমানে এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যুর কারণ। তবে এর চিকিৎসা এখন বাংলাদেশে হচ্ছে। তবু প্রতিরোধ ব্যবস্থাই উত্তম বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানান, স্ট্রোক মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ এবং বিশ্বব্যাপী প্রাপ্তবয়স্ক অক্ষমতার সবচেয়ে সাধারণ কারণ। উন্নয়নশীল বিশ্বে স্ট্রোকের ঘটনা বাড়ছে। এটি একটি মেডিক্যাল জরুরি অবস্থা, যেখানে প্রতি মিনিটে দুই মিলিয়ন মস্তিষ্কের কোষ মারা যায়।
তাঁদের মতে, নিয়ম মেনে চলা এবং খাদ্য গ্রহণে সচেতন হলে এই রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়িয়ে চলা এবং স্ট্রোক হলে দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন তাঁরা।
গতকাল শনিবার ঢাকায় ইমপালস হসপিটাল ও ইংরেজি দৈনিক বাংলাদেশ পোস্ট আয়োজিত স্ট্রোকের ঝুঁকি নিয়ে এক গোলটেবিল বক্তৃতায় তাঁরা এ কথা জানান। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে স্ট্রোক হলে স্ট্রোক সেন্টারে যেতে হবে। এটি মস্তিস্কের একটি রোগ এবং সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগ থেকে অনেকাংশে উত্তরণ সম্ভব। তবে ওষুধের দাম এখনো গরিবের নাগালের বাইরে উল্লেখ করে এতে বলা হয়, গরিবদের নাগালের মধ্যে ওষুধের দাম আনতে হবে এবং এ জন্য সরকারের পদক্ষেপ জরুরি।
গোলটেবিল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিউরোলজিস্ট ও সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. শহীদুল্লাহ সবুজ। এতে বক্তব্য দেন প্রধান তথ্য কর্মকর্তা বেগম কামরুন্নাহার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ, ইমপালস হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. জহির আল আমিন, অধ্যাপক ডা. আনিসুল হক, আইসিটি বিভাগের কমিউনিকেশনস স্পেশালিস্ট অজিত কুমার সরকার, বাংলাদেশ পোস্টের প্রধান সম্পাদক শরীফ শাহাবুদ্দিন, ইমপালস হসপিটালের সিইও ডা. দবির উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
Posted ৬:৫৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১০ জুন ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh