দেশবিদেশ অনলাইন ডেস্ক | শুক্রবার, ০৬ জুলাই ২০১৮
শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের একটি পদ্ধতি হলো ঘাম। গরমে শরীরের তাপমাত্রা আবহাওয়ার তাপমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে ঘাম হয়। অতিরিক্ত গরমে ঘেমে যাওয়া একটি সাধারণ ব্যাপার। তবে অতিরিক্ত ঘাম অনেকসময় কিছু রোগেরও লক্ষণ হয়ে থাকে। মানুষের শরীরে ‘অ্যাক্রাইন ও অ্যাপোক্রাইন’ নামক দুই ধরনের ঘর্মগ্রন্থি আছে। আবহাওয়ার অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
এই তাপমাত্রা স্বাভাবিক করাই ঘর্মগ্রন্থির কাজ। এর পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন বিষাক্ত উপাদান সমূহ ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যায়, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী ও প্রয়োজনীয়। উচ্চ তাপমাত্রা ছাড়াও শারীরিক পরিশ্রম, উত্তেজনা, রাগ, ভয়, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি স্বাভাবিক কারণেও ঘাম হয়ে থাকে। তবে অতিরিক্ত ঘাম অনেক সময় কিছু রোগের লক্ষণ হতে পারে। অনেকেই শীতকাল অথবা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়ায় সমস্যায় ভোগেন। বিশেষ করে হাত ও পায়ের তালু ও বগল ইত্যাদি স্থানে অতিরিক্ত ঘাম হয়।
এইসব ক্ষেত্রে থাইরয়েড হরমোন জনিত সমস্যা থাকতে পারে। এছাড়া ডায়াবেটিস, নিউরোলজিক্যাল ডিজিজ, কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ ইত্যাদি অতিরিক্ত ঘামের কারণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই উত্তম।
এছাড়া অতিরিক্ত ঘামের কারণে কিছু চর্মজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন: ঘামাচি, ব্রণ, ব্যাকটেরিয়াল ও ফাংগাল ইনফেকশন ইত্যাদি। এছাড়া শরীরে পানিশূন্যতার সৃষ্টি হতে পারে। তাই অতিরিক্ত ঘাম হলে প্রচুর তরলজাতীয় খাবার যেমন: পানি, ফলের রস, স্যালাইন গ্রহণ করতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। গরমের দিনে হালকা রঙের সুতি পোশাক পরিধান করাই উত্তম।
Posted ৮:১১ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০৬ জুলাই ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh