দেশবিদেশ প্রতিবেদক | বুধবার, ০৮ জুন ২০২২
বিশ্ব সমুদ্র দিবসে প্রতিবছরের ন্যায় বিশ্বের দ্বীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়েছে। বুধবার সকালে সমুদ্র সৈকতের কলাতলী পয়েন্ট থেকে হ্যাচারী জোন পর্যন্ত পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়।
তারকা মানের হোটেল সাইমান বিচ রিসোর্ট এর উদ্দ্যোগে হোটেলের মলিক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ব্যবসায়ী, পর্যটন উদ্দোক্তা সহ সংশ্লিষ্টরা পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহন করেন।
সায়মান বীচ এর ব্যবস্থপনা পরিচালক মাহবুব উর রহমান রুহেল এর নেতৃত্বে ৬ বছর ধরে এ পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়ে আসছে।
সায়মান বীচ এর ব্যবস্থপনা পরিচালক মাহবুব উর রহমান রুহেল বলেন, কক্সবাজারে অধিকাংশ হোটেলে পরিবেশ দূষণ রোধে ও দুর্গন্ধ ঠেকাতে বর্জ্য শোধনাগারের ব্যবস্থা নেই। তাই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে। যার জন্য সাগর দূষিত হয়ে নীল তিমি সহ বিভিন্ন মৃত জলজ প্রাণী বালিয়াড়িতে ভেসে আসছে। সমুদ্রকে বাঁচাতে হবে এবং পরিষ্কার রাখতে হবে এটি ট্যুরিজমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ট্যুরিজম তথা সৈকতরে জলজ প্রাণীকে বাঁচাতে প্রতিটি হোটেলে বর্জ্য শোধনাগারের ব্যবস্থা রাখার আহবান জানান তিনি। এছাড়া বিদেশি পর্যটক আর্কষণে আরো বিভিন্ন বিনোদনের উপকরণ সুযোগ সুবিধা বাড়াতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গোপসাগরকে ব্যবহার করে দেশের অর্থনৈতিক চাকা আরও গতিশীল করার অফুরন্ত সম্ভাবনা রয়েছে। ব্লো-ইকোনমি বিশ্বের অনেক দেশকেই ব্যাপক সফলতা এনে দিয়েছে। আমাদেরও সেদিকেই মনোযোগী হওয়ার সময় এসেছে। সমুদ্রকে জানা, সমুদ্র ও সমুদ্রের সাথে সম্পৃক্ত বিষয় গুলোকে কাজে লাগানো এবং সমুদ্রকে দূষণ থেকে মুক্ত রাখতে ‘বিশ্ব সমুদ্র দিবস’ উদযাপনের গুরুত্ব রয়েছে। দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো, সাগর-মহাসাগর সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বাড়িয়ে তোলা।
Posted ১০:৫৯ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৮ জুন ২০২২
dbncox.com | ajker deshbidesh