দেশবিদেশ প্রতিবেদক | সোমবার, ১৬ মে ২০২২
১৮ মে আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হবে ‘কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বহুতল অফিস ভবন’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে ভবনটি উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন কউক চেয়ারম্যান কর্ণেল (অব:) ফোরকান আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ব্যতিক্রম কোন কিছু না হলে নির্ধারিত দিনে প্রধানমন্ত্রী ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
আর প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান গণপূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভবনটি নির্মাণ শেষে ব্যয়ে সাশ্রয় হওয়ায় ৪ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা সরকারের কাছে ফেরত দেয়া হয়েছে।’
এরফলে মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী কক্সবাজারকে একটি আধুনিক, আকর্ষণীয় ও পরিকল্পিত পর্যটন নগরী গড়ে তোলা সহজ হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্য মতে, ২০১৭ সালের ২৭ মার্চ কক্সবাজার উন্নয়নক কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অফিস ভবনের জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ভূমি বরাদ্দ কমিটি ১.২১ একর জমি বরাদ্দ দেন। একনেকে ১১২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়ার পর একই বছর কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বহুতল অফিস ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাধানে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব গণপূর্ত বিভাগ।
২০১৮ সালের ১৫ জুলাই ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০২০ সালে ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে সময় বড়ানো হয়। একই সাথে আরো ২ কোটি টাকা বরাদ্দও বাড়ানো হয়। ২০২১ সালে কাজের শেষ হয়ে এ বছর ১৮’মে ভবনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে ভবন নির্মাণে মোট প্রকল্প ব্যয় থেকে ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা সাশ্রয় হয় বলে জানিয়েছেন বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: ওমর ফারুখ।
তিনি বলেন, ‘কউক অফিস ভবনের প্রত্যাশি প্রতিষ্ঠান। আর গণপূর্ত বিভাগ বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্মাণ কাজের সার্বক্ষনিক তদারকিতে ছিল। ফলে বিপুল অংকের টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে।’
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কর্নেল অব: ফোরকান আহমেদ বলেন, এটি অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্পের টাকা। এ টাকা অন্যকোন প্রকল্পে ব্যয় করাও যাবে না। তাই এ টাকা সরকারের কাছে ফেরত দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কউক’ প্রতিষ্ঠার পর প্রায় ৬ বছর ভবন ভাড়া নিয়ে অফিসের কাজ করেছে। নিজস্ব ভবন হওযায় অফিসের সংকট দুর হয়েছে। এতে কাজের গতিও বাড়বে। কক্সবাজারকে ঘিরে সরকারের মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী একটি আধুনিক, আকর্ষণীয় ও পরিকল্পিত পর্যটন নগরী বাস্তবায়ন করাও সহজ হবে।’
Posted ১:৩৪ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৬ মে ২০২২
dbncox.com | ajker deshbidesh