| শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১
দেশবিদেশ রিপোর্ট:
মেরিন ড্রাইভ সড়কের রেজু ব্রীজের উভয় পাশে নিত্য দীর্ঘ যানজট লেগেই রয়েছে। এতে স্থানিয় মানুষের পাশাপাশি চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পর্যটকদের। উকূলীয় এলাকার মানুষের জন্য মেরিন ড্রাইভ সড়কটি আশির্বাদ হলেও রেজু ব্রীজটি অভিশাপে পরিণত হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাতায়াত করা এনজিওর গাড়ীর কারনে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান স্থানিয়রা।
রামুর উপকূলীয় এলাকা ও উখিয়া-টেকনাফ উপজেলার বেশিরভাগ মানুষ মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। পাশাপাশি পাহাড় আর সাগরের মধ্যে বানানো বিশে^র দ্বীর্ঘতম এ মেরিন ড্রাইভ সড়কের দুই পাশের অপরুপ সৌন্দর্য অবলোকনে আসে হাজার হাজার পর্যটক। এর সাথে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাতায়ত করা এনজিওর হাজারো গাড়ী এ সড়ক দিয়ে চলাচল করছে। যার কারনে নিত্য দীর্ঘ যানজট লেগেই রয়েছে।
স্থানিয়রা জানান, মেরিনড্রাইভ সড়কটি অনেকটা প্রশস্ত হলেও রেজু ব্রীজটি সংকুচিত রয়ে গেছে। রেজু ব্রীজটি সরু হওয়ায় একমুখী গাড়ী চলাচল ছাড়া বিকল্প কোন ব্যবস্থা নেই। ব্রীজের এক পাশ দিয়ে গাড়ী চলাচল করলে অপর পাশ দিয়ে চলাচল করতে পারেনা। এতে যানজট লেগে যায়। এর মধ্যে প্রতিদিন পর্যটকবাহী গাড়ী রয়েছে। এছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাতায়াত করা এনজিওর হাজারো গাড়ী এ সড়ক দিয়ে চলাচল করছে। যার কারনে নিত্য দীর্ঘ যানজট লেগেই রয়েছে।
এতে স্থানিয় মানুষের পাশাপাশি চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পর্যটকদের। এমনকি জরুরী রোগী নিয়ে যাতায়ত করা এ্যামবুলেন্স পর্যন্ত ঘন্টা ধরে আটকে পড়ার ঘটনাও নিত্য ঘটে আসছে। উকূলীয় এলাকার মানুষের জন্য মেরিন ড্রাইভ সড়কটি আশির্বাদ হলেও রেজু ব্রীজটি অভিশাপে পরিণত হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাতায়াত করা এনজিওর গাড়ী গুলো কক্সবাজার-টেকনাফ আরাকান সড়ক দিয়ে চলাচলের দাবী জানান স্থানিয়রা। ওদিকে ব্রীজের যানজটকে পুঁজি করে কোন কোন মহল অসৎ উদ্দেশ্যে চেক পোষ্টটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার দাবিও তুলছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে চেক পোষ্টটি বহাল রেখে ব্রীজে ট্রাফিক ব্যবস্থা চালু করলে এমন সমস্যা কিছুটা হলেও লাঘব বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
এডিবি/জেইউ।
Posted ৩:৫১ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১
dbncox.com | ajker deshbidesh