দেশবিদেশ প্রতিবেদক | সোমবার, ১৬ মে ২০২২
সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টের ঝিনুক মার্কেটে (ছাতা মার্কেট) চলাচলের রাস্তা দখল করে পণ্য বিক্রির অভিযোগ উঠেছে মক্কা হোটেলের বিরুদ্ধে। তবে চলার রাস্তায় চেয়ার-টেবিল বসিয়ে বেচাকেনার অনুমতি আছে বলে দাবি করছেন হোটেল মালিক কাসেম আলী।
রোববার (১৫ মে) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লাবণী পয়েন্টের সৈকত এলাকায় জেলা প্রশাসনের উন্মুক্ত মঞ্চের দক্ষিণ পাশে ঝিনুক মার্কেটে (ছাতা মার্কেট) অবস্থিত মক্কা হোটেল অতিরিক্ত বারান্দা নামিয়ে চলার পথে চেয়ার-টেবিল বসিয়ে বেচা-বিক্রি করছে। প্রধান দোকান ছাড়াও ত্রিপলের ছাউনি দিয়ে নামানো বারান্দায় ৩টি টেবিলে ১৫টির উপরে চেয়ার বসিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে। এতে পর্যটকের পাশাপাশি স্থানীয়দের চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে প্রতিনিয়ত। পর্যটকরা হেঁটে হেঁটে মার্কেটের অন্যান্য দোকানে যেতে ও সৈকতে নামতে অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মক্কা হোটেলের মালিক কাসেম আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জেলা প্রশাসনের অনুমতি আছে বলে জানান।
কাসেম আলী বলেন, ‘মার্কেটের অন্য দোকানগুলোতে জেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করলেও আমার দোকানে অভিযান পরিচালনা করেনি। ডিসি অফিসের অনুমতি নিয়ে আমি চেয়ার-টেবিল বসিয়ে বেচাকেনা করছি।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) সৈয়দ মুরাদ ইসলাম বলেন, ‘এর আগেও চলার পথ দখল করে বেচাকেনার দায়ে মক্কা হোটেলকে জরিমানা করা হয়। এরপরও যদি তারা নির্দেশনা অমান্য করে ব্যবসায় করে তবে তাদের বিরুদ্ধে আবার অভিযান পরিচালনা করা আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
উল্লেখ্য, গত শনিবার (১৪ মে) ওই মার্কেটে চলাচলের রাস্তা দখল করে ফুচকা, চটপটি, আচার, জুতা-সেন্ডেল ও অন্যান্য পণ্য বিক্রির দায়ে ৪ দোকানকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করে জেলা প্রশাসন। এরপর কয়েকটি দোকান তাদের অতিরিক্ত বারান্দা খুলে ফেললেও মক্কা হোটেলসহ কিছু কিছু দোকানের বারান্দা এখনো খুলে ফেলেনি। তারা চলাচলের পথ দখল করে বেচা-বিক্রি চালিয়ে যাচ্ছে দেদারসে। এতে চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এমন কর্মকাণ্ডে পর্যটকসহ পথচারীরা অতিষ্ঠ বলে অভিযোগের শেষ নেই।
Posted ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৬ মে ২০২২
dbncox.com | ajker deshbidesh