এইচ এম শহীদ, পেকুয়া । | শুক্রবার, ০৩ এপ্রিল ২০২০
দেশে চলমান করোনা আতঙ্কের মাঝেই পেকুয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে চলছে চায়ের দোকান। যেহেতু ভাইরাসটি খুব দ্রুত একজনের শরীর থেকে অন্য আরেক জনের শরীরে প্রবেশ করে তাই সবাইকে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা সহ জরুরী প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু এই নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে অনেকেই গ্রামের চায়ের দোকান, টংঘর সহ বিভিন্ন স্থানে বসে আড্ডা দিচ্ছেন।
এলাকায় সেনা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার থাকলেও প্রত্যন্ত গ্রামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন তৎপরতা নেই। আর এই সুযোগে চায়ের দোকানে দিন রাত চলে আড্ডা।
সরেজমিনে – পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়ন, টইটং, রাজাখালী, মগনামা, উজানটিয়া, বারবাকিয়া, শিলখালি-সহ বিভিন্ন গ্রামের চায়ের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, দোকান ভর্তি মানুষ বসে আড্ডা দিচ্ছে ।
অনেকেই আবার দোকানের দরজা বন্ধ করে গ্রাহকদের ভেতরে ঢোকাচ্ছে।
চায়ের দোকানে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন এসে বসে থাকায় এই স্থানে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেশি। এছাড়া করোনায় দীর্ঘ ছুটি পেয়ে ঢাকা চট্রগ্রাম ও করোনা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে আসা ব্যাক্তিদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা মানছে না কেউই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পেকুয়া সাবেক গুল্দী গ্রামের এক চায়ের দোকানদার জানান, আমাদের এই দোকানের আয় দিয়ে সংসার চলে দোকান বন্ধ রাখলে খাব কি! সরকার যদি কোন সহযোগিতা করতো তাহলে দোকান বন্ধ রাখতাম।
যদিও পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম বাহ্দুর শাহ্ বলেন- পেকুয়া উপজেলার মধ্যে বৃহত্তর ইউনিয়ন হচ্ছে পেকুয়া সদর- অত ইউনিয়নের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সরকারি সহায়তা হিসেবে উপাজন/জীবিকা হত দরিদ্র মানুষের জন্য পেকুয়া খাদ্য বিতরণের ২৩৫ জনের ২০ কেজি করে চাউল বরাদ্দ করেছেনপ্রশাসন ।
উপজেলা পর্যায়ে সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রস্তুত করে তা বিতরণ করে দিয়েছি ।
খাদ্য দ্রব্য চাউল বিতরণের ব্যাপারে জানতে চাইলে সদর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে এমইউপি- ইসমাইল সিকদার বলেন- আমার ওয়ার্ডে ৩০জন কে দিতে পেরেছি- কিন্তু জনসংখ্যা রয়েছে ৩ হাজারের উপরে- ওয়ার্ডের বেশিরভাগ হতদরিদ্র ও দিনমজুর ।
Posted ৫:৫৯ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০৩ এপ্রিল ২০২০
dbncox.com | ajker deshbidesh