বার্তা পরিবেশক | মঙ্গলবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সরকারের মহতি উদ্যোগকে এক শ্রেণীর লোক প্রতারণা মাধ্যমে খাদ্য বান্ধব চাল ভোক্তাদের নিকট বিতরণ না করে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর অধীনে দুইজন ডিলার নিযোগ আছে। উক্ত ডিলারগণ কুতুবদিয়া উপজেলা খাদ্য অফিস থেকে বরাদ্দকৃত খাদ্য বান্ধব চাল উত্তলন করে নিয়ে গেলেও গত নভেম্বর/২২ মাসের বরাদ্দকৃত চাল ভোক্তাদের নিকট বিতরণ না করার অভিযোগ তুলেছে ভোক্তারা। সম্প্রতি বঞ্চিত খাদ্য বান্ধব ভোক্তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা প্রশাসকসহ উর্ধতন কর্মকর্তাদের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগে উল্লেখ করেন যে , আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে ৭১৭জন খাদ্য বান্ধব ভোক্তার তালিকা রয়েছে। উক্ত তালিকা অনুপাতে কাইমুল হুদা বাদশা ও ওসমান গনি দুইজন ডিলার নিয়োগপ্রাপ্ত হয়।বিগত কয়েক বছর ধরে ডিলারগণ সরকারি নিয়মনীতি মোতাবেক বরাদ্দকৃত চাল উত্তলন করে ভোক্তাদের নিকট বিতরণ করেছে। যথানিয়মে গত নভেম্বর/২২ মাসের চাল উত্তলন করে কিছু সংখ্যক ভোক্তাদের নিকট চাল বিতরণ করলেও তাদের তালিকায় থাকলেও অধিকাংশ ভোক্তা খাদ্য বান্ধব চাল পায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে কুতুবদিয়া উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সাবেক উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক আলী আকবর ডেইল ইউপির চেয়ারম্যান নুরুচ্ছাফা বিকম বলেন, তিনি চেয়ারম্যান থাকাকালীন আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে ৭১৭ জন ভোক্তা খাদ্য বান্ধব চাল পেয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় গেল নভেম্বর মাসে যথানিয়মে ডিলারগণ খাদ্য অফিস থেকে চাল উত্তলন করে ভোক্তাদের নিকট বিতরণ না করে গোপনে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সরকারি খাদ্য বান্ধব সুবিধা বঞ্চিত ভোক্তারা প্রতিনিয়তি স্থানীয় চেয়ারম্যানের নিকট অভিযোগ দিলেও কোন ধরণের প্রতিকার না পেয়ে উর্ধতন কর্মকর্তাদের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
এ বিষয়ে কুতুবদিয়া উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা অনুপম ধরের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সরকারিভাবে খাদ্য বান্ধব সুবিধাভোগী ভোক্তাদের ডাটাবেইজ অনলাইনে অন্তভূক্তি করা হলে আপনা আপনি ১৫৯ জনের নাম বাদ পড়ে যায়। বর্তমানে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে ৫৫৮ জন খাদ্য বান্ধব সুবিধা ভোগ করবেন।
এলাকার খাদ্য বান্ধব সুবিধা বঞ্চিত ভোক্তা মনিরা বেগম, সাজেদা বেগম, ছৈয়দ আহমদ, লুলু আরা বেগমসহ শতাধিক সাক্ষরিত একটি অভিযোগ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরন করেছে। তারা অভিযোগে উল্লেখ করে, প্রতি কেজি ১০ টাকা মূল্যে জন প্রতি ৩০ কেজি করে বরাদ্দ রয়েছে। এ বরাদ্দের চাল বছরে ৫ বার বিতরণ করে থাকেন। তারা গত ২০২২ সনে চার বার খাদ্য বান্ধব চাল পেয়েছে। নভেম্বর এক মাসের চাল পায়নি। বিগত তিন মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও তাদের নামে বরাদ্দকৃত চাল দেয়নি।
এ ব্যাপারে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের খাদ্য বান্ধব ডিলার কাইমুল হুদা বাদশার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গত নভেম্বর মাসে তার তালিকার ৩৫৯ জনের স্থলে ২৭৭ জন ভোক্তার নামে খাদ্য বান্ধব তালিকায় নাম এসেছে। সব ভোক্তাদের নাম অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি করলে আপনা আপনি, বিধবা,বয়স্ক, ভিজিডি,সহ সরকারি সুবিধা ভোগীর তার তালিকা থেকে ৮২ জন ভোক্তার নাম বাদ পড়ে যায় বলে দাবী করেন। তার পাশাপাশি ওসমান গনি ডিলারের ৩৫৮ জন ভোক্তা ছিল। ডাটাবেইজ অনলাইনের এন্ট্রি করার পর ২৮১ জন ভোক্তা আছে, আরো ৭৭ জন ভোক্তা বাদ যায়।
তবে একটি সূত্রে জানা গেছে, আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের খাদ্য বান্ধব ডিলার কাইমুল হুদা বাদশা ও ওসমান গনি গত নভেম্বর মাসের বরাদ্দকৃত চাল উত্তলন করে দুই ডিলার নভেম্বর মাসের চাল ভোক্তাদের না দিয়ে গোপনে আত্নসাত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভোক্তারা প্রশাসন, ভোক্তা অধিকার, আইনশৃংখলা বাহিনীকে সরেজমিনে তদন্ত করার জোর দাবী জানান।
Posted ৯:৩১ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
dbncox.com | Bijoy Kumar