রবিবার ১১ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
শিরোনাম

মহেশখালীর শাপলাপুরে সরকারি খাস জমির মাটি হরিলুট

আব্দুল্লাহ আল ফরহাদ   |   শুক্রবার, ০৬ জানুয়ারি ২০২৩

মহেশখালীর শাপলাপুরে সরকারি খাস জমির মাটি হরিলুট

মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়নের (৪ নং ওয়ার্ড) মৌলভীকাটা এলাকায় সরকারি ১নং পাহাড়ভুক্ত খাস খতিয়ানের জায়গা (আরএস-২৫৭৯/বিএস-৩৫৩০) থেকে একদল মাটি খেকোদের নেতৃত্বে চলছে মাটি বিক্রির মহোৎসব। মাটি খেকোদের নেতৃত্বে গতকাল মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে গভীররাত পর্যন্ত চলে মাটি কাটার মহোৎসব। এতে করে সরকারি জমি হাতছাড়া হওয়ার পাশাপাশি কৃষি জমি ধ্বংসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, শাপলাপুর ইউনিয়নের (৪ নং ওয়ার্ড) মৌলভীকাটা এলাকায় রাস্তার পাশে একটি উঁচু টিলা থেকে স্কেভেটর-ডাম্পার দিয়ে মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। মাটি কেটে ডাম্পার বোজায় করে নিয়ে যাচ্ছে এবং বিক্রি করা হচ্ছে নির্মানাধীণ বাড়ীতে, বিল্ডিং করার জন্য জায়গা ভরাট ও দোকানের জায়গা ভরাট করছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফরিদ মেম্বার, জালাল মাস্টার ও সালাম মসজিদের জায়গা ভরাটের নামে সরকারি উঁচু টিলা জায়গা থেকে মাটি বিক্রি করছে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় জানায়, ফরিদ মেম্বার কয়েকদিন আগেও স্কেভেটর নিয়ে এই জায়গায় মাটি বিক্রি করার জন্য আসছিলো কিন্তু বিট অফিসার এসে বাধা দিলে চলে যায়। এখন কয়েকদিন পরে দেখি আবার স্কেভেটর-ডাম্পার নিয়ে রাত-দিন মাটি কাটতেছে।
স্থানীয়রা আরও জানায়, ফরিদ মেম্বারের কাজ হচ্ছে উঁচু জায়গায় যারা বসবাস করছে তাদের ভিটা নিচু করার কথা বলে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মাটিগুলো বিক্রি করে। আর কর্মসূচির মাটি কাটার টাকা অর্ধেক তার পকেটে ডুকায় বলেও অভিযোগ আছে। কর্মসূচির মাটি কাটার লোকজনদের দিয়ে তার বসতভিটার কাজকর্ম করায় বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে মেম্বার ফরিদুল আলমের সাথে যোগাযোগ করলে বলেন, আমি সামান্য একটি উঁচু টিলা থেকে মাটি নিয়ে মসজিদের জায়গা ভরাট করছি। আর আমি কোনো সরকারি জায়গা থেকে মাটি কাটি নাই এগুলো খতিয়ানভুক্ত জায়গা।
মহেশখালী ইউএনও মোহাম্মদ ইয়াছিন জানান, কয়েকদিন আগে একটা টিলা থেকে কিছু মাটি নিয়ে মসজিদের জায়গা ভরাট করবে বলেছিলো আমাকে। ওরা মাটি বিক্রি করছে তা আমার জানা নাই আমি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

Comments

comments

Posted ১:২৫ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৬ জানুয়ারি ২০২৩

dbncox.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

দশ বছর পর
দশ বছর পর

(1570 বার পঠিত)

সেই মা সেই ছবি
সেই মা সেই ছবি

(1189 বার পঠিত)

(1161 বার পঠিত)

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

প্রকাশক
তাহা ইয়াহিয়া
সম্পাদক
মোঃ আয়ুবুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়
প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত এবং দেশবিদেশ অফসেট প্রিন্টার্স, শহীদ সরণী (শহীদ মিনারের বিপরীতে) কক্সবাজার থেকে মুদ্রিত
ফোন ও ফ্যাক্স
০৩৪১-৬৪১৮৮
বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন
01870-646060
Email
ajkerdeshbidesh@yahoo.com