শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
শিরোনাম
মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্প

সাবেক জেলা প্রশাসকসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু

দেশবিদেশ অনলাইন ডেস্ক   |   মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০১৯

সাবেক জেলা প্রশাসকসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু

ফাইল ছবি

মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) রুহুল আমিনসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে। ‘অস্তিত্বহীন’ চিংড়িঘেরের তথ্য দিয়ে ১৯ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ৩১৫ টাকা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের নামে ভুয়া চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করার তথ্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্তে উঠে আসে।

আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাঈল হোসেন শুনানি শেষে এই মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন কক্সবাজারের সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) জাফর আলম, জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সাবেক উচ্চমান সহকারী আবুল কাশেম মজুমদার, সাবেক সার্ভেয়ার ফখরুল ইসলাম, আবদুল কাদের ভুঁইয়া, রকিবুল আলম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মশিয়ার রহমানসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও চাষি সেজে ক্ষতিপূরণ নেওয়া চিংড়ি ব্যবসায়ীরা।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রুহুল আমিন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ছিলেন। ওই সময় মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য মহেশখালী উপজেলায় ১ হাজার ৪১৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় ২৩৭ কোটি টাকা। ওই সময় ২৫টি ‘অস্তিত্বহীন’ চিংড়িঘেরের তথ্য দিয়ে প্রায় ৪৬ কোটি ২৪ লাখ ৩ হাজার ৩২০ টাকা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে ১৯ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ৩১৫ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের নামে ভুয়া চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়। বাকি ২৬ কোটি ৩১ লাখ ৯৫ হাজার ৫ টাকা উত্তোলনের জন্য পাঁচটি চেকও ইস্যু করা হয়।

এই ঘটনায় এ কে এম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী নামে মাতারবাড়ীর এক ব্যবসায়ী ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর তখনকার জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) জাফর আলমসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অভিযোগ করেন। এরপর আদালতের আদেশে দুদক এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল রুহুল আমিনসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এতে ১৯ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ৩১৫ টাকা ক্ষতিপূরণের নামে ভুয়া চেকের মাধ্যমে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে উত্তোলন করা হয়েছে বলা হয়। এরপর জেলা প্রশাসকসহ কয়েকজন আসামি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান। পরে তাঁরা জামিনে মুক্তি পান।

দুদকের আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসকসহ ৩৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর জন্য রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা ৩৬ আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন।

Comments

comments

Posted ১০:৫৬ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০১৯

dbncox.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

দশ বছর পর
দশ বছর পর

(1548 বার পঠিত)

সেই মা সেই ছবি
সেই মা সেই ছবি

(1165 বার পঠিত)

(1145 বার পঠিত)

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

প্রকাশক
তাহা ইয়াহিয়া
সম্পাদক
মোঃ আয়ুবুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়
প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত এবং দেশবিদেশ অফসেট প্রিন্টার্স, শহীদ সরণী (শহীদ মিনারের বিপরীতে) কক্সবাজার থেকে মুদ্রিত
ফোন ও ফ্যাক্স
০৩৪১-৬৪১৮৮
বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন
01870-646060
Email
ajkerdeshbidesh@yahoo.com