বার্তা পরিবেশক | বুধবার, ২৬ জুলাই ২০২৩
আর্টিমিয়া উৎপাদনে অসামান্য কৃতিত্বের জন্য চাষি নুরুল ইসলামকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) কক্সবাজারে আয়োজিত জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাকে পুরস্কৃার তুলে দেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। এ সময় সরকারি কর্মকর্তা, জেলে, মাছ/চিংড়ি হ্যাচারি মালিক, বেসরকারি সংস্থা, আর্টিমিয়া এবং মাছ চাষি এবং উপকূলীয় মাছ ও মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিতিত ছিলেন।
এবারের মৎস্য সপ্তাহ ২০২৩ এর স্লোগান ছিল “নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, গরবো স্মার্ট বাংলাদেশ”। অনুষ্ঠানটি শুধু নুরুল ইসলামের শ্রেষ্ঠত্বকে স্বীকৃতি দেয়নি বরং দেশের সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির জন্য টেকসই ও নিরাপদ মৎস্য উৎপাদনের প্রচারের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে। বাংলাদেশের প্রথম সফল আর্টিমিয়া চাষি হিসেবে তার অসাধারণ যাত্রা মৎস্য শিল্পকে মুগ্ধ করেছে। তিনি তার পুকুরে আর্টিমিয়া সিস্ট এবং বায়োমাস উৎপাদন করেছেন পাশাপাশি সফলভাবে লবণ চাষ ও অব্যাহত রেখেছেন। তিনি হ্যাচারিতে আর্টিমিয়া সরবরাহ/বিক্রি করেছেন এবং আর্টিমিয়া, চিংড়ি/মাছ চাষের পুকুরে খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করায় তার উদ্ভাবনী চাষ পদ্ধতিটি অনেক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে, যা মৎস্য চাষের অনুশীলনের অগ্রগতিতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছে।
তিনি কক্সবাজার সদর উপজেলার অন্তর্গত চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের একজন কারিগরি দরিদ্র, প্রান্তিক লবণ চাষি। ৫ সদস্য বিশিষ্ট পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য তিনি। ২০২০ সালে একটি টার্নিং পয়েন্ট আসে যখন তিনি ইউরোপিও ইউনিয়য়নের অর্থায়নে ওয়ার্ল্ডফিশের আর্টিমিয়া ফর বাংলাদেশ প্রকল্পের মাধ্যমে আর্টিমিয়া এবং এর সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে পারেন।
তিনি প্রকল্পের কর্মীদের এবং লবণ চাষিদের সাথে বিস্তৃত আলোচনার পর একজন প্রদর্শনী চাষি হিসাবে এই নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করেন। প্রকল্প দলের দ্বারা প্রদত্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত এবং লজিস্টিক সহায়তার মাধ্যমে, তিনি ২০২১ সালের এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে একটি আর্টিমিয়া পুকুর তৈরি করেন, তিনি ৩৫ শতক পুকুর এলাকায় প্রতি লিটারে ১০০ টি আর্টিমিয়া নপল মজুদ করেন।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নুরুল ইসলাম বলেন, “এই পুরস্কার পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং আমি গর্বীত, আমি ওয়ার্ল্ডফিশ এবং আর্টিমিয়া ফর বাংলাদেশ প্রকল্পকে ধন্যবাদ জানাই।”
মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য চাষের অগ্রগতিতে তার অবদানের জন্য প্রশংসা করেন। তার অসাধারণ যাত্রা অন্যদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা, হিসেবে কাজ করবে বলে আশাব্যাক্ত করেন।
Posted ১:১০ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৬ জুলাই ২০২৩
dbncox.com | Bijoy Kumar