রবিবার ১১ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
শিরোনাম

মিয়ানমারে বেসামরিক হতাহত অব্যাহত, যুদ্ধাপরাধ বলছে জাতিসংঘ

দেশবিদেশ অনলাইন ডেস্ক   |   সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

মিয়ানমারে বেসামরিক হতাহত অব্যাহত, যুদ্ধাপরাধ বলছে জাতিসংঘ

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট বলেছেন, রোহিঙ্গাদের দেশত্যাগের তিন বছর পেরিয়ে গেলেও মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ দায়ীদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত শক্ত কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এছাড়া সম্প্রতি মিয়ানমারে বেশ কিছু বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে; যা যুদ্ধাপরাধের শামিল।

মিয়ানমারের রাখাইন এবং চিন প্রদেশে সাম্প্রতিক হতাহত নিয়ে সোমবার জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলের এক বৈঠকে এসব কথা বলেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক এই হাইকমিশনার।

তিনি বলেন, কিছু কিছু ঘটনায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী নির্বিচারে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত অথবা আক্রমণ চালিয়েছে বলে মনে হয়; যা আরও যুদ্ধাপরাধ অথবা এমনকি মানবতার বিরুদ্ধেও অপরাধ হতে পারে।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক এই কর্মকর্তা বলেছেন, প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্যাটেলাইটে পাওয়া চিত্রে রাখাইনের উত্তরাঞ্চল সম্প্রতি পুড়িয়ে দেয়ার আলামত মিলেছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এই কর্মকাণ্ডকে উদ্বেগজনক উল্লেখ করে স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর রক্তাক্ত অভিযানের মুখে তিন বছর আগে সাত লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা; যাদের প্রায় অর্ধেকই শিশু, বাড়িঘর ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে তাদের সব সহায়-সম্বল রেখে ভয়াবহ সহিংসতা থেকে বাঁচতে জীবন বাঁচানোর চেষ্টায় সীমান্তের নাফ নদী পেরিয়ে আসেন।

রাষ্ট্রহীন এই রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংস নিপীড়ন, জ্বালাও-পোড়াও, ধর্ষণ, হত্যাযজ্ঞ শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট।

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের ‘গণহত্যা চলমান’ রয়েছে, এমন অভিযোগ এনে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করে আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া। আদালতের কাছে দাখিলকৃত এক প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানায় মিয়ানমার। যদিও এ প্রতিবেদনের বিস্তারিত কোনও কিছু প্রকাশ করা হয়নি।

জাতিসংঘের তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, ‘গণহত্যার অভিপ্রায়ে’ রাখাইনে সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে বলে প্রথমবারের মতো স্বীকার করেন মিয়ানমারের ডি-ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি। তবে গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, শরণার্থীরা নিজেদের ওপর নিপীড়নের ঘটনা অতিরঞ্জিত করে বলছেন।

সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি।

Comments

comments

Posted ৯:১৭ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

dbncox.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

প্রকাশক
তাহা ইয়াহিয়া
সম্পাদক
মোঃ আয়ুবুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়
প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত এবং দেশবিদেশ অফসেট প্রিন্টার্স, শহীদ সরণী (শহীদ মিনারের বিপরীতে) কক্সবাজার থেকে মুদ্রিত
ফোন ও ফ্যাক্স
০৩৪১-৬৪১৮৮
বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন
01870-646060
Email
ajkerdeshbidesh@yahoo.com