| সোমবার, ১১ জানুয়ারি ২০২১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ক্যাপিটল হিলে হামলা ও হতাহতের ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলতে গেলে প্রায় একঘরে হয়ে পড়েছেন। এবার তোপের শিকার হলেন নিজ পরিবারের। তাকে ভ্যারসাম্যহীন বলে ক্ষমতা থেকে দ্রুত সরানোর কথা বলেছেন তার ভাতিজি মেরি ট্রাম্প। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম গার্ডিয়ানে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।
মেরি ট্রাম্প বলেন, ‘চার বছরের বাম্তবতার শেষ চিত্র ছিল এটি (ক্যাপিটল হিলে হামলা)। আমাদের চারপাশে থাকা মানুষগুলো কতটা নিকৃষ্ট হতে পারেন তাদের উৎসাহ ও ক্ষমতা দিয়ে তা প্রমাণ করেছেন। এই ঘটনা তারই সারমর্ম। এই ঘটনায় আমি ব্যথিত। পরবর্তীতে যার প্রেসিডেন্ট হবেন তারা ঘটনার সময় একই কক্ষে ছিলেন, পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ ছিল।’
তিনি বলেন, ‘এখন কথা বলার সময় না। এখন দ্রুত কাজ করার সময়। আমার বিশ্বাস ২৫তম অ্যামেন্ডমেন্ট (সংবিধান সংশোধন) আনা হবে। তবে আমি মনে করি ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এটি করবেন না, কারণ এই গ্রহের সবচেয়ে বড় কাপুরুষ হলেন তিনি। এই সপ্তাহে পদত্যাগ করা মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরাও এটি করবেন না, তবে তারা জানেন সেদিন কী হয়েছিল। তারা রাজনৈতিক পতন এড়ানোর চেষ্টা করছেন।’
যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর আর কিছু করার আগেই ট্রাম্পকে সরানো উচিত বলে মনে করেন তিনি। এজন্য আইন প্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ক্যাপিটল হিলের এই ঘটনা রিপাবলিকানদের ভবিষ্যতে বয়ে বেড়াতে হবে বলে সতর্ক করেন তিনি। বলেন, ‘তারা যদি তাকে (ট্রাম্পকে) অভিযুক্ত না করেন, তাহলে এই বিপর্যয় সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হবে। এটি তাদের পোড়াবে।’
শুধু এবারই নয়, নির্বাচনের আগে এবং পরেও ট্রাম্পের কঠোর সমালোচন করেছেন তার ভাতিজি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্ট লেখিকা মেরি ট্রাম্প। তিনি এর আগে বলেন, ‘হোয়াইট হাউস ত্যাগ করার পরই অসংখ্য অপরাধ, রুক্ষ আচরণ ও প্রতারণার দায়ে ট্রাম্পের স্থান হবে কারাগারে।’
নির্বাচনের আগে তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প জানতেন তিনি বিপর্যস্ত অবস্থায় আছেন। তিনি জানতেন সবদিক দিয়ে তার পতন অনিবার্য। তিরি আরো বিভাজন ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেয়েছেন। তার সাথে আমাদেরও পতন ঘটাতে চেয়েছেন।’
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল ভবনে সহিংসতায় অন্তত চারজন নিহত হন। সেদিন ডোনাল্ড ট্রাম্পের শত শত সমর্থক ওই ভবনে ঢুকে পড়েন। সেখানে কংগ্রেসের অধিবেশন চলাকালে হঠাৎ করেই ট্রাম্প সমর্থকরা তাণ্ডব শুরু করেন। ভাঙচুরের পাশাপাশি সেখানে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। ওই ঘটনা পর নিজ দেশে ও বিশ্বে চরম সমালোচনার মুখে পড়েন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাকে অভিশংসনসহ আইনের মুখোমুখি করা হবে বলেও মনে করছেন অনেকে।সূত্র:জাগো নিউজ।
এডিবি/জেইউ।
Posted ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১১ জানুয়ারি ২০২১
dbncox.com | ajker deshbidesh