নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ০১ অক্টোবর ২০১৮
জেলায় একদিনে ৫ সন্ত্রাসীসহ ৭ জন নিহত হয়েছে। মহেশখালী ও টেকনাফে এবং বাইশারী এলাকায় কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পাঁচ ব্যক্তির নিহতের কথা জানিয়েছে পুলিশ।পুলিশের ভাষ্য, টেকনাফ ও মহেশখালিতে পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুজন এবং রামুর দুর্ধর্ষ ডাকাত আনোয়ার হোসেন প্রকাশ আনাইয়া ডাকাতসহ ৩জন বাইশারীতে প্রতিপক্ষ ডাকাত দলের গুলিতে মারা যায়। অন্যদিকে রামুতে এক সিএনজি চালককে হত্যা করেছে দুবৃত্তরা আর পরিকিয়ার অভিযোগে ছোট ভাইকে হত্যা করেছে বড় ভাই।
নিহতরা হচ্ছে মহেশখালির সন্ত্রাসী মোহাম্মদ করিম প্রকাশ ওরফে মাত করিমকে (৩২) ও টেকনাফের ইয়াবা কারবারি ইমরান হোসেন প্রকাশকে (পুতুইয়া মিস্ত্রী) (৪০) এবং রামুর ডাকাত আনোযার হোসেন ওরফে আনাইয়া (২৭),পারভেজ হোসেন বাপ্পি (২৩) , আবদুল হামিদকে (২৩), পিএমখালির সিএনজি চালক আবদুস সালাম দুদু মিয়া (৪৮), টেকনাফে পরকিয়া প্রেমে আসক্ত মো: ইসমাইল।
কক্সবাজার মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসের ভাষ্য, রবিবার ভোরে ছোট মহেশখালির শাপলার দেবা এলাকায় পুলিশ অভিযানে গেলে সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপর গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষায় পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে ওই এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে করিমের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় ৮ টি বন্দুক, ২ হাজার ইয়াবা, ২০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে ৫ পুলিশ।
করিমের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি।
টেকনাফ থানার ওসি রনজিত কুমার বড়–য়ার ভাষ্য, ইয়াবা পাচারের গোপন সংবাদ পেয়ে শনিবার দিবাগত রাতে টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়ন দরগারছড়া এলাকায় অভিযানে যায় পুলিশ। উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক চোরাকারবারীরা পুলিশের উপর গুলি ছুড়ে। পাল্টা গুলি ছুড়লে তারা পালিয়ে যায়।
পরে সেখান থেকে ইমরান হোসেন প্রকাশের (পুতুইয়া মিস্ত্রী) গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওসি জানায়, নিহত পুতুইয়া মিস্ত্রী হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম সিকদার পাড়া এলাকার আজিজুল হকের পুত্র। সে চিহ্নিত মাদক চোরাকারবারী।
ঘটনাস্থল থেকে ২টি অস্ত্র, গুলি ও ৭ হাজার ইয়াবা উদ্ধার কথা জানিয়ে ওসি বলেন, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তাদের তিন সদস্য আহত হয়েছে।
অন্য এক ঘটনায়, ভোররাতে টেকনাফ সদরের জাহালিয়া পাড়া এলাকায় ছোট ভাই মোহাম্মদ ইসমাইলকে গলা কেটে হত্যা করেছে বড় ভাই ফরিদ আহমদ।বড় ভাই ফরিদ আহমদের স্ত্রীর সাথে ছোট ভাই মো: ইসমাইল পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। ফরিদ দেশে ফিরে তাদের পরকিয়া বিষয়টি জানতে পেরে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে বলে জানান ওসি রনজিত কুমার বড়–য়া।
অপরদিকে বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ হাবিবুর রহমান বলেন, রবিবার ভোরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বাইশারী নারিসবুনিয়া পিএইচপি ১১ নম্বর বাগান থেকে বাইশারী চাইঙ্গা বাজার এলাকার আবদুস সোবাহানের ছেলে আনোয়ার হোসেন ওরফে আনাইযয়া, রামুর ঈদগড় কোদালিযয়া কাটার সৈযদ হোসেনের ছেলে পারভেজ হোসেন বাপ্পি ও গর্জনিয়া বড়বিল এলাকার আবদুল হামিদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়।
দুই ডাকাত দলের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তারা নিহত হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, তারা তিনজনই চিহ্নিত ডাকাত ও সন্ত্রাসী। তাদের বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি, অপহরণসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।
এদিকে রামুর চা বাগানে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় এক সিএনজি চালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালির মাছুয়াখালি এলাকার আবদু সালাম দুদু মিয়া। সিএনজি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে দুদু মিয়াকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান নিহতের ছোট ভাই শামসুল আলম।
দেশবিদেশ /০১ অক্টোবর ২০১৮/নেছার
Posted ১:৩১ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০১ অক্টোবর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh