দেশবিদেশ অনলাইন ডেস্ক | রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে বেশ সক্রিয়। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে প্রায়ই নিজেস্ব মত প্রকাশ করে থাকেন এই মাধ্যমে। সম্প্রতি এই নির্মাতা ফেসবুকে লিখেছেন, আসল সমস্যাটা কোথায়? বোরখায় না আবহমান কালের বাঙালীয়ানায়? এবার প্রশ্ন “আবহমানকালের বাঙালীয়ানা” কোনটা? ব্যাপারটা কি এমন যেটা এতকাল ধরে সাধারণভাবে বাংলাদেশে চলে আসছে? তো বাংলাদেশে তো এক সময় কালচার ছিল, মেয়েরা সন্ধ্যার পরে ঘরের বাইরে যাবে না! মেয়েদের পনেরো বছর হইলে বিয়ে দিয়ে স্বামীর ঘরে পাঠাইয়া দিতে হবে! মেয়েরা চাকরী করতে পারবে না!
ফেসবুকে তিনি আরও লিখেছেন, তারও আগে ছিল সতীদাহ প্রথা! আমরা তো সেই সব কালচাররে ঝাড়ু পিটা কইরা তাড়াইয়া দিছি। নাকি? তার মানে আবহমান কালের বাঙালীয়ানাটা ধইরা না রাখলেও আমাদের মধ্যবিত্ত কালচারাল পুলিশদের সমস্যা নাই! সমস্যা কি তাইলে বোরখায়? কারণ এটা মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসছে? তো আমরা কি বাইরের কিছু নিবো না? তাইলে তো সালওয়ার কামিজ, প্যান্ট-শার্ট, শর্ট এগুলাও আমাদের বাতিল করতে হয়! নাকি? এক সময় এই বাকোয়াজ পাহারাদারগুলা রক-পপ মিউজিকরে অপসংস্কৃতি বইলা চুঙ্গা ফুঁকাইছিলো দিনের পর দিন! আবহমান শুনলেই তাই আমি চশমার ফাঁক দিয়া একটু ভালো কইরা তাকাইয়া দেখি! আমার অবশ্য ব্যক্তিগতভাবে কোনোটাতেই সমস্যা নাই! বোরখাতেও নাই, বিকিনিতেও নাই! যতক্ষণ পর্যন্ত জবরদস্তি না হচ্ছে!
সবশেষে এই নির্মাতা জানান, আগেও বলছি, যে হুজুর ফতোয়া দেয় নারী প্যান্ট টি-শার্ট পরতে পারবে না, হেন করতে পারবে না, তেন করতে পারবে না। তার সঙ্গে আমাদের কিছু লিবারেলদের খুব পার্থক্য পাই না। যখন তাদের বোরখা নিয়া ফতোয়া শুনি! তখন আমার ইনাদেরকে একেকজন সেক্যুলার আমির হামজা মনে হয়!
আমাদের পরের প্রজন্ম এইসব পেটি এবং ফালতু জ্ঞানালাপ থেকে আশা করি দূরে থাকবে। তাদের মন চাইলে শর্ট পইরা ঘুরবে, মন চাইলে আপাদমস্তক ঢাইকা ঘুরবে! তার গা ঢাকা বা খোলা রাখার কারণে তাকে আমরা আলাদা করে জাজ করবো না, বৈষম্য করবো না- এইটুকু আলো আমাদের দাও গো সাঁই।
Posted ৯:৩২ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
dbncox.com | ajker deshbidesh