দেশবিদেশ অনলাইন ডেস্ক | মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯
শিক্ষকদের চাকরিই সবচেয়ে সুখের মনে করেন অধিকাংশ। গরমের ছুটি, পুজোর ছুটি তো রয়েছেই, তার ওপরে নেই কর্পোরেট-সুলভ বাড়তি কাজের চাপও। আপনিও কি সেই দলে? কিন্তু গবেষকরা বলছেন উল্টো কথা। তাঁদের মতে, অন্য যে কোনও পেশার কর্মীদের তুলনায় মানসিক চাপের শিকার বেশি হন শিক্ষকরাই। ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর এডুকেশনাল রিসার্চের এক সমীক্ষায় সম্প্রতি উঠে এসেছে এই তথ্য।
শিক্ষার্থীর সংখ্যা অত্যধিক বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি প্রশিক্ষকের সংখ্যা কমলে এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এর ফলে কার্যক্ষেত্র এবং জীবনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে মনে। মানসিক চাপের শিকার হওয়া সেখানে দূরদৃষ্ট মাত্র। পরিসংখ্যান বলছে, অন্যান্য পেশার ক্ষেত্রে যেখানে ৩২ শতাংশ কর্মীরা তাঁদের কর্মক্ষেত্র নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন, সেখানে শিক্ষকদের এই হিসেব দাঁড়িয়েছে ৪১ শতাংশ। এমনকী, নিজের কাজ নিয়ে প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে এক জন শিক্ষকই দুশ্চিন্তায় ভোগেন। অন্যান্য পেশার ক্ষেত্রে প্রতি আট জনে এক জন মাত্র ওই সমস্যায় পড়েন। গবেষক জ্যাক ওয়ার্থ বলেন, ‘ইংল্যান্ডের স্কুলগুলিতে শিক্ষকপদে নিয়োগ এবং পড়ুয়াদের সংখ্যার মধ্যে বিশেষ অসাম্য লক্ষ্য করা যায়। ফলে দিনকে দিন এই প্রশিক্ষকদের মানসিক সমস্যা বেড়ে চলেছে। অবিলম্বে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে আরও কঠিন সময় আসতে চলেছে।’ ন্যাশনাল এডুকেশন ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম্যারি বোস্টেড বলেন, ‘এর ফলে অনেকেই শিক্ষকতার পেশা থেকে দূরে থাকতে চাইছেন।’
অনেকেই ভবিষ্যতে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু তার আগে ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর এডুকেশনাল রিসার্চের এই পরিসংখ্যান অবশ্যই জেনে নেওয়া উচিত। কারণগুলি জেনে হয়তো এই সমস্যার সমাধানও পেয়ে যাবেন হাতের নাগালে।
Posted ৯:১৭ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯
dbncox.com | ajker deshbidesh