দেশবিদেশ ডেস্ক | শুক্রবার, ২১ জানুয়ারি ২০২২
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর ১৭ মার্চ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। তখনো প্রথমে দুই সপ্তাহের ছুটি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে থাকায় ২৩ দফায় সেই ছুটি বাড়াতে হয়। এরপর গত ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু এখন ফের বন্ধ করতে হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
এ প্রসঙ্গে শুক্রবার বিকালে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, হঠাৎ করেই শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এ কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে সকালেই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী স্কুল-কলেজ বন্ধ করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংক্রমণ হঠাৎ করে বেশি বেড়ে গেছে। এ জন্য শঙ্কা আছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কারণে যেন সেই শঙ্কা বেড়ে না যায়। এ জন্যই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।
তিনি এদিন রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) এক বৈঠকে যোগ দেন। তখন তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সংক্রমণের হার কমে গেলে আবারো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। তবে এখন অনলাইনে ক্লাস কার্যক্রম চলমান থাকবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল রয়েছে সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীরা চলাচল করবে। পরিস্থিতি উন্নতি হলে আবারো ক্লাসে ফিরবে তারা। তবে শিক্ষকরা প্রশাসনিক কাজে যোগ দিতে পারবেন। স্কুল-কলেজে ক্লাস বন্ধ থাকলেও অফিস খোলা থাকবে। তাই শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠানে যাবেন। পাশাপাশি শিশুদের টিকাদান কার্যক্রমও এই সময়ে চলবে।
স্কুল বন্ধের সুফল যাতে পাওয়া যায়, সে লক্ষ্যে শিশুদের বাসায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কোচিং সেন্টারও বন্ধ থাকবে। স্কুল বন্ধের যে নির্দেশনা পাওয়া গেছে তা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ও বন্ধ থাকবে।
Posted ১১:২৬ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২১ জানুয়ারি ২০২২
dbncox.com | ajker deshbidesh