লিটন কুতুবী : | শনিবার, ০৪ এপ্রিল ২০২০
উচ্চ ফলনশীল জাত ব্রিধান-৯২ এর চাষের ফসলে বাম্পার ফলেছে কুতুবদিয়া উপকূলে। চলতি বোরো মৌসুমে চট্টগ্রাম বিভাগে সর্ব প্রথম কুতুবদিয়া দ্বীপে পরীক্ষামূলক এক বিঘা জমিতে ব্রিধান-৯২ এর চারা রোপন করা হয়েছে।
কুতুবদিয়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরা মৌসুম শুরুতে অর্থাৎ (২০১৯সন) জাতীয় বীজ বোর্ড কর্তৃক ছাড় কৃত ব্রিধান ৯২ উদ্বাবনের পর কক্সবাজার জেলা কুতুবদিয়া দ্বীপের বড়ঘোপ ইউনিয়নের মনোহরখালী গ্রামে এক বিঘা জমিতে পরীক্ষা মূলক চাষ করা হয়েছে। কৃষি অফিস কর্তৃপক্ষ নতুন উদ্বাবিত ব্রিধান ৯২ ধানের চারা বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনিষ্টিটিউট গাজিপুর থেকে আনা হয় বলে জানান।
উদ্বাবনের ৬মাসের মাথায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল উপকূল কুতুবদিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু জাফর মুহাঃ মঈন উদ্দিনের প্রচেষ্ঠায় কুতুবদিয়ায় সর্ব প্রথমব্রিধান ৯২ ধানেরচাষকরাহচ্ছে। কৃষিঅফিস সূত্রেজানা গেছে, ব্রিধান ৯২ ধান বেশী ফলন দিতে সক্ষম। ব্রিধান ৯২ ধানের জীবন কাল ১৫৬-১৬০ দিন। ফলনপ্রতি হেক্টরে ৮.৪ হতে ৯.৩ টন পর্যন্ত ধান উৎপাদন হতে পারে বলে কৃষিবিদরা ধারনা করেন। এ ধানের চাল লম্বা ও চিকন। কান্ড শক্ত তাই গাছ হেলে পড়েনা। আবহাওয়া খারাপ হলেও সমস্যা হয়না। কুতুবদিয়া এনএটিপি প্রকল্পের আওতায় প্রযুক্তিতে রোপন করা হয়েছে।
এ ছাড়াও কুতুবদিয়া দ্বীপের উপকূলের কৃষি জমিতে চলতি বোরা মৌসুমে নতুন ধান ব্রিধান ২৮,৪৭,৫০,৫৮,৬৩,৬৭,৭৪ এবং ৮৯,৯২ ধানের চাষ করা হয়েছে। কুতুবদিয়া উপকূলে লবণসহনশীল জাত ধানচাষের মধ্যে ব্রিধান ৬৭ ধান ১০ হেক্টর, ব্রিধান ৪৭ ধান ২০ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে।
কুতুবদিয়া কৃষি অফিস সূত্রে আরো জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে কুতুবদিয়া উপকূলে ১৩’শ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হচ্ছে। চলতি শুস্ক মৌসুমে ২৫’শ হেক্টর জমিতে লবণ চাষ হচ্ছে। শাক সবজির চাষ হচ্ছে ৫০ হেক্টর জমিতে। তবে পানির অভাবে ১৫০ হেক্টর ফসলি জমিতে কোন ধরণের চাষাবাদ হচ্ছেনা।
কুতুবদিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুজাফর মুহাঃ মঈন উদ্দিন জানান, চলতি বোরা মৌসুমে গভীর নলকূপের আওতায় ৭৫০ হেক্টর, অগভীর নলকূপের আওতায় ২৫০ হেক্টর, পুকুৃরের পানি সেচের আওতায় ৪’শ হেক্টর ফসলি জমিতে চাষাবাদ হচ্ছে।
এ রির্পোট লিখা পর্যন্ত বড়ধরণের কোন রোগে আক্রান্ত হয়নি ফসল। আবহাওয়া প্রতিকূল পরিবেশে থাকলে আগামী মে মাসের মাঝামাঝি কৃষকরা ধান কাটা শুরু করতে পারবে বলে আশা রাখেন।
Posted ১০:১৯ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৪ এপ্রিল ২০২০
dbncox.com | ajker deshbidesh