পেকুয়া প্রতিনিধি | বুধবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২১
পেকুয়ায় বনবিভাগের জায়গায় অবৈধ বসতি নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পেকুয়ায় তিনটি ইউনিয়নে বনবিভাগের রিজার্ভ জায়গা রয়েছে। সেগুলো হল টইটং,বারবাকিয়া, শিলখালী। ওই ইউনিয়নগুলোতে দিন দিন বসতি নির্মাণ চলছে। স্থানীয় রিজার্ভ জায়গার বাসিন্দারা বনবিভাগের কর্তাবাবুদের মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে এ সব বসতি নির্মাণ করছে। অথচ সরকারী আইন অনুযায়ী বনবিভাগের রিজার্ভ জায়গায় পাহাড় কাটা ও বসতি নির্মাণ অবৈধ। তথ্য সুত্রে জানা যায়, টইটং ইউনিয়নের ধনিয়াকাটা এলাকায় সরকারী রিজার্ভ জায়গায় মোজাম্মেল নামক ব্যক্তি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দালান নির্মাণ করছে। অপর দিকে শিলখালী ইউনিয়নের দক্ষিণজুম ভেটভেটি নামক সরকারী বনবিভাগের রিজার্ভ জায়গায় মোজাহের আহমদের পুত্র মো: কালু প্রকাশ মেস্ত্রী একই ভাবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দিন দুপুরে বসতি নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে। তিনি আরো জানান, একটি কেন আমি আমার বাড়ির উত্তর দিকে আরো একটি বাড়ি নির্মাণ করব। এ ভাবে বনবিভাগের জায়গায় বসতি নির্মাণের ফলে সরকারী জায়গা দিন দিন বেহাত হয়ে যাচ্ছে। একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়, পেকুয়া উপজেলার বনবিভাগের তিনটি বিট রয়েছে। প্রত্যেকটি বিটের অধীনে একজন টাকা কালেকশনের ক্যাশিয়ার রয়েছে। যারা অবৈধ ঘর নির্মাণ করে তাদের কাছ থেকে রেঞ্জ অফিসার, বিট অফিসার ও প্রহরীগণ সরাসরি টাকা নেয়না। ওই নির্ধারিত ক্যাশিয়ারের মাধ্যমে টাকা কালেকশন করে থাকে। যারা দালান নির্মাণ করে তাদের নিকট থেকে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা, মাটির ঘর নির্মাণ করলে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। এ ব্যাপারে বারবাকিয়া বিট অফিসার আমির হোসেন জানান, যারা অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করে তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। বারবাকিয়া রেঞ্জ অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, শিলখালীর পূর্ব ভারুয়াখালী এলাকায় একটি অবৈধ বসতঘর গুড়িয়ে দিয়েছি। তিনি টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। তবে যারা অবৈধ বসতি নির্মাণ করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
Posted ৯:২৪ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২১
dbncox.com | ajker deshbidesh