রেজাউল করিম রেজা, পেকুয়া | বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২২
পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী বেশারাতুল উলুম মাদ্রাসায় সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া তাবাসসুম জান্নাত রেখাকে ধর্ষণ পূর্বক হত্যাকান্ডের ৬ মাস অতিবাহিত হলেও এ পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
এদিকে মামলা তুলে নিতে অব্যাহতভাবে চাপ প্রয়োগসহ তাদের পক্ষের লোকজন হুমকিধামকি প্রদান করছে বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদি নিহত রেখার বাবা আইয়ুব আলী।
পুলিশ বলছে, ঘটনার পর থেকে আসামীরা এলাকায় না থাকার কারণে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে অতি দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
রেখার বাবা দিনমজুর আইয়ুব আলীর ভাষ্যমতে, মেয়ে হত্যাকান্ডের প্রকৃত আসামীদের বিচারের মুখামুখি করার জন্য গত ৬ মাস ধরে ঘুরছেন আদালতের বারান্দা ও থানার দুয়ারে দুয়ারে। আশ্বাসের বুলি পাইলেও কিন্তু তদন্ত কাজের উন্নতি দেখিনি। রেখা নিহত হওয়ার পর থেকে খাওয়া-দাওয়া ঘুম কোন কিছুর ঠিক নেই। শত চেষ্টা করেও আদালতে নিতে পারনি মামলার ফাইনাল রিপোর্ট।
রেখার মা বলেন, ‘২১সালের ২৪ জুলাই আমি ও আমার স্বামী বাড়িতে না থাকার সুবাদে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ৪ নং ওয়ার্ডের হলুরঘাট এলাকার মকছুদ আহমদের পুত্র আবুল কাশেম (২০) রাজাখালী ইউপির ২নং ওয়ার্ড মিয়াপাড়া মৃত আবুল হোছাইন ওরফে বাশারের ছেলে আলমগীর(২২) হাজীর পাড়া এলাকার নুরুল হকের ছেলে রবিউল আলম(১৯)। আমার মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে বিষ খাইয়ে দিয়ে হত্যা করে। আমার বড় ছেলের ফোন কল পেয়ে আমি অবগত হই। পরে পেকুয়া থানায় ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় এই ৩ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করি। সেই থেকে দীর্ঘ ৬ মাস পার হয়ে গেলেও কোন আসামী গ্রেপ্তার হয়নি।’
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে ২১সালের ২৬ জুলাই উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের হাজ্বীর পাড়া আয়ুব আলীর মেয়ে ও রাজাখালী বেশারাতুল উলুম মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া তাবাসসুম জান্নাত রেখামনি(১৪)কে রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পরিত্যক্ত একটি বাসায় ধর্ষণ পরবর্তী বিষ খাইয়ে দিয়ে হত্যা করে। পরের দিন সকালে পেকুয়া থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার চকরিয়া সার্কেল তফিকুল আলম বলেন, ‘এখনো মামলার তদন্ত চলমান, আসামি ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে। তবে ঘটনার পর থেকে আসামীরা এলাকায় না থাকায় গ্রেপ্তার করা হয়নি।
Posted ৯:৩৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২২
dbncox.com | ajker deshbidesh