মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া | শুক্রবার, ১৫ জুন ২০১৮
কক্সবাজারের চকরিয়ায় চার দিনের মধ্যে তৃতীয় দফায় পাহাড়ি ঢল নেমেছে। উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি মাতামুহুরী নদীর দু’কূল উপচিয়ে পাড়াগাঁয়ে প্রবেশে করেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় কাকারা, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল, বরইতলী, হারাবাং, সুরাজপুর-মানিকপুরসহ ১২টি ইউনিয়ন ফের প্লাবিত হয়েছে।
এসব ইউনিয়নের অন্তত ২০ হাজার ঘরে ঢলের পানি প্রবেশ করেছে। এই এলাকা থেকে দ্বিতীয় দফার বন্যার পানি না নামতেই আবারো বানের পানিতে এলাকা তলিয়ে যাওয়া ভয়াবহ দূর্ভোগের মুখে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ। এছাড়া উপকূলের ৭ ইউনিয়নের দেড় লক্ষাধিক মানুষ এখানো পানিবন্দি। এছাড়া পেকুয়ার তিনটি ইউনিয়নের অন্তত ৫০হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। ফের বানের পানি নামায় চকরিয়া-পেকুয়ার হাজারের বেশী মসজিদের মধ্যে নিচু এলাকার শতাধিক মসজিদে ঈদ জামাত আদায় করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। রাত সাড়ে ১০টায় মাতামুহুরী নদীর চিরিঙ্গা সেতু পয়েন্টে ১২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে ঢলের পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। এসময় পানি বাড়ছিল দ্রুত। উপজেলার আঞ্চলিক ও গ্রামিন সড়কগুলো পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগে বিপর্যয় নেমে এসেছে। একেরপর এক বন্যায় প্লাবিত হওয়ায় গ্রামের মানুষ মার্কেটে আসতে না পারায় ঈদবাজারে তার প্রভাব পড়েছে।
ওষান সিটির ব্যবসায়ী কারুশৈলীর মালিক মুকুল কান্তি দাশ বলেন, ১০ রমজানের পর থেকে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় বেচাকেনা হয়েছিল কম। আশা ছিল চাঁদ রাতের আগে দুইদিন বেচাকেনা করে পুষিয়ে নেয়া যাবে। কিন্ত বন্যার কারনে গ্রামের হাজার হাজার মানুষ সওদা করতে আসতে না পারায় ঈদ উপলক্ষে মজুদ করা কাপড় অবিক্রিত রয়ে গেছে বেশীরভাগ।
Posted ১:৩০ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৫ জুন ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh