মুকুল কান্তি দাশ, চকরিয়া | | শুক্রবার, ১০ এপ্রিল ২০২০
কক্সবাজারের চকরিয়ায় নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রতিনিয়ত মালবাহী গাড়িতে করে লোকজন ও বিভিন্ন পণ্য আসার খবরে এলাকার লোকজনের মাঝে আতংক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। এতে এলাকায় মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবী জানিয়েছেন। অপরদিকে চকরিয়ার,বদরখালী ও পেকুয়ার মগনামাঘাট থেকে প্রতিদিন বোটে করে লবণ যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চকরিয়া পৌরশহরের কাঁচাবাজারে প্রতিনিয়ত আলু এবং তরমুজ বোঝাই ১০ থেকে ১২টি ট্রাক আসে নারায়ণগঞ্জ থেকে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের নিত্যপণ্যও আসে । এছাড়া কাঁচা সবজিসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে ভীড় করছে আরো অন্তত ১০টি ট্রাক। এসব ট্রাকে করে আসা করোনভাইরাস আক্রান্ত চালক-হেলপার থেকে এলাকায় সংক্রমণ হতে পারে বলে এলাকাবাসী ধারণা করছেন।
আরো জানা গেছে, গত ৭ তারিখ থেকে কক্সবাবাজার জেলাকে লকডাউনের ঘোষনা দেন জেলা প্রশাসক মো.কামাল হোসেন। এরপর থেকে কড়াকড়ি আরোপ করা হয় চকরিয়ার সীমান্ত এলাকা। বসানো হয় দুটি চেকপোষ্ট। এই চেকপোষ্ট দুটিতে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ করছে। পণ্যবাহি গাড়ি ছাড়া অন্যকোন গাড়ি ডুকতে দিচ্ছেনা পুলিশ।
কিন্তু অভিযোগ উঠেছে এসব পন্যবাহি গাড়িতে করে বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন আসছে। এসব লোকগুলো এলাকায় ডুকে পড়ছে। এতে আতংক ছড়িয়ে পড়ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চকরিয়া পৌরশহরের একজন বাসিন্দা বলেন, মহামারি করোনাভাইরাস ঠেকাতে সারা দেশে গণপরিবহণ বন্ধ রয়েছে। মালামাল পরিবহণে কোন নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে করোনোভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় নারায়ণগঞ্জ জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু ওই এলাকা থেকে প্রতিদিন বড় বড় ট্রাকে করে আলু, তরমুজসজ বিভিন্ন পণ্য আনা হচ্ছে চকরিয়ায়। ওখান থেকে সংক্রমিত ব্যক্তির মাধ্যমে করোনাভাইরাস চকরিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে তাহলে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে। আমি প্রশাসনকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানাচ্ছি।
চকরিয়া বিমানবন্দর রোড ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুস শফি বলেন, কক্সবাজার ও রামুর দুই ব্যবসায়ী নারায়নগঞ্জ থেকে বিভিন্ন পন্য নিয়ে আসে। এরাই মুল ব্যবসায়ী। চকরিয়ায় যারা ব্যবসা করছে তারা মুলত ওই দুই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মাল কিনে বিক্রি করে। আমি চকরিয়ার ব্যবসায়ীদের বলেছি নারায়নগঞ্জ থেকে আসা চালক ও হেলপারদের এড়িয়ে চলার জন্য।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.হাবিবুর রহমান বলেন,চকরিয়ার সীমান্ত এলাকা এবং হারবাং ইনানীর সামনে দুটি চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। ওই চেকপোষ্ট দুটিতে পুলিশ ছাড়াও সেনাবাহিনী কাজ করছে। নারায়নগঞ্জ থেকে আসা গাড়িগুলো পণ্যবাহি। যেহেতু পণ্যবাহি গাড়ি আটকানোর নিয়ম নেই। তারপরও চেষ্টা করছি নিয়ন্তণ করার।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, চকরিয়ার হারবাং ও বরইতলীতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুইটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। শুধু নিত্যপণ্য নিয়ে যানবাহনগুলো চলাচল করতে পাবরে। ডুলাহাজারা, চোঁয়ারফাড়ি ও বদরখালী এলাকা থেকে লবণ বোঝাই বোটে করে কারা আসছে-যাচ্ছে তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে স্থানীয় চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
Posted ৮:২০ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১০ এপ্রিল ২০২০
dbncox.com | ajker deshbidesh