বার্তা পরিবেশক | বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২
সদরের ঝিলংজা দক্ষিণ মুহুরীপাড়ার আবু বক্কর ছিদ্দিক ওরফে ইউসুফ ড্রাইভার (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী দিয়ে মারধর ও স্ত্রী-মেয়ের শীলতা হানির অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার খায়রুল আমিন ও সমাজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. ইসমাইল বাহিনীর বিরুদ্ধে। টমটমের আগে-পরে সিরিয়াল নেয়া সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধের জেরে আবু বক্কর ছিদ্দিক ওরফে ইউসুফ ড্রাইভারকে মারাত্মক জখম ও তার স্ত্রী-মেয়ে এবং ২ ছেলের উপর অমানবিক নিযার্ন চালায় বলে ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ।
এ ব্যাপারে জুহুরা বেগম বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ৪-৫ অজ্ঞাতসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন, দক্ষিণ মুহুরীপাড়ার রোহিঙ্গা মো. হামিদ (৩০), সমাজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. ইসমাইল (৪৫), মো. বাছেরের ছেলে রোহিঙ্গা খাইরুল আমিন (৩০), রোহিঙ্গা আনোয়ার (৩০), মো. রাকিব (২৫), নুর আহমদ (৪৫), নুর আহমদের ছেলে আকিবুল ইসলাম বাবু (১৯), আসলাম (৪০)।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত মো. হামিদের সঙ্গে টমটম চালক আবু বক্কর ছিদ্দিক ওরফে ইউসুফ ড্রাইভারের সঙ্গে টমটম গাড়ির আগে-পরে সিরিয়াল নেয়া সংক্রান্ত কথা কাটাকাটি হয়। এরপর মো. হামিদ, খাইরুল আমিন, মো. ইসমাইলসহ তাদের সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট ইউসুফ ড্রাইভারের পেছনে লেগে ষড়যন্ত্র শুরু করে। এবং বিভিন্ন সময় হুমকি, ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসছে।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইউসুফ ড্রাইভার টমটম চালানো শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে অভিযুক্ত নুর আহমদের মুদির দোকানের সামনে গেলে আগে থেকে উৎপেতে থাকা অন্যান্য অভিযুক্তরা ধারালো দা, কিরিচ, ছুরি, লোহার রড, হাতুড়ি ও লাঠিসোটা দিয়ে ইউসুফ ড্রাইভারকে জখম করে। এসময় মো. হামিদ তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পেছন থেকে আঘাত করে। এতে মাথার খুলির হাঁড় ভেঙে যায়।
বাদী জুহুরা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামীকে এভাবে মারতে শুনে আমি আমার মেয়ে ইয়াছমিন, ২ ছেলে এনামুল হাসান ও রাসেল নয়ন দৌঁড়ে এসে রক্ষা করতে চাইলে আমাদের উপর অমানবিক অত্যাচার করে তারা। আমার বড় ছেলেকে আঘাত করে ডান হাতের বৃদ্ধা ফেটে ফেলে এবং ১০ বছরের ছেলে রাসেল নয়নকেও নিষ্ঠুরভাবে জখম করে তারা। এসময় আমার স্বামীর পকেটে থাকা ২ হাজার টাকা, আমার মেয়ের ১টি স্বর্ণের চেইন, একটি অ্যানড্রয়েড মোবাইল কেড়ে নেয় তারা।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা নিরুপায় হয়ে জাতীয় জরুরী সেবা সার্ভিস নম্বর ‘৯৯৯’ এ কল দিলে তাৎক্ষণিক পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। তারা যোগসাজসে একই উদ্দেশ্যে আমাকেসহ আমার স্বামী-সন্তানদের মেরে ফেলার জন্য ঘটনাটি করেছে। আমরা আইনের আশ্রয় নেওয়ায় তারা প্রতিনিয়ত হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আমার পরিবার তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে রক্ষা পেতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
এদিকে অভিযুক্ত দক্ষিণ মুহুরীপাড়া সমাজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. ইসমাইল বলেন, ‘মো. হামিদ ও নুর আহমদের সাথে ইউসুফের সাথে আবু বক্কর ছিদ্দিক ওরফে ইউসুফের ঝগড়া সমাধান করতে গিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, ‘এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত টিম পাঠিয়েছি। ঘটনাটি সূক্ষ্মভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। এঘটনা সত্যতা নিশ্চিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।’
Posted ৪:৪৮ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২
dbncox.com | ajker deshbidesh