দেশবিদেশ অনলাইন ডেস্ক | শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০
রুমানা রশীদ ঈশিতা। এক সময় টিভি নাটকে নিয়মিত অভিনয় করলেও এখন তাকে সেভাবে দেখা যায় না। বর্তমানে তার মূল ব্যস্ততা স্বামী, সন্তান আর সংসারকে ঘিরেই। পাশাপাশি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাও করছেন। আগের মতো নিয়মিত কাজ করা সম্ভব না উল্লেখ করে ঈশিতা মানবজমিনকে বলেন, পরিবারকে সময় দিচ্ছি। আমার ছেলে এখন ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে। ও যখন আরেকটু বুঝতে শিখবে তখন আবার কাজের পরিমাণ বাড়িয়ে দিব। একটা সময় তো লেখাপড়া আর শুটিং ছাড়া অন্য কোনো কাজ করতাম না।
তখন কিন্তু অনেক কাজ করেছি। কিন্তু এখন সময় আর পরিস্থিতি তো পাল্টে গেছে। পরিবারকে সময় দিতে হয়। এ মূহুর্তে অমার পক্ষে অনেক কাজ করা সম্ভব না। তবে বর্তমানে যে নির্মাতারা আমার সুযোগ-সুবিধা দেখবেন তাদের সঙ্গেই কাজ করবো। এ ছাড়া উপায় নেই। পর্দায় ঈশিতার নিয়মিত দেখা না মিললেও উৎসবকেন্দ্রিক দু-একটি নাটকে এখনও অভিনয় করেন। গত কোরবানি ঈদে দুটি নাটকে দেখা গেছে তাকে। এগুলো হল হচ্ছে মাহমুদুর রহমান হিমির ‘কেন’ এবং আশফাক নিপুণের ‘ইতি মা’। দুটি নাটকেই তার অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়েছে। নতুন কোনা নাটকে অভিনয় করছেন কিনা জানতে চাইলে এই অভিনেত্রী বলেন, এরমধ্যে কয়েকটা ভালো স্ক্রিপ্ট এসেছিল। তবে করোনার এই কঠিন সময়ে বাইরে গিয়ে আমার পক্ষে শুটিং করা সম্ভব নয়। সবকিছু আগের মতো স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শুটিংয়ে ফিরছি না।
অভিনয়ে এসে অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা-দোয়া পেয়েছেন ঈশিতা। জীবনে আর চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই বলে জানান তিনি। ক্যারিয়ার, জীবনের অর্জন নিয়ে গুণী এই অভিনেত্রী বলেন, আমার সৌভাগ্য হয়েছে বাংলাদেশে যাদেরকে কিংবদন্তি হিসেবে ধরা হয় তাদের অনেকের সাথেই কাজ করার। ফেরদৌসী মজুমদার, সুবর্ণা মুস্তাফা থেকে শুরু করে আব্দুল্লাহ আল মামুন যারা ছিলেন তখন। গুণী এই মানুষগুলোর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে অনেক কিছু শেখেছি। আর বিটিভিতে কাজ করার সুবাদে অনেক গুণী নির্মাতার সঙ্গেও কাজের সুযোগ হয়েছে। এজন্য নিজের মধ্য ভালো লাগা কাজ করে সবসময়ই। আর ছোট এই জীবনে যা পেয়েছি তাতেই আমি সন্তুষ্ট। অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা দোয়া পেয়েছি। এখনও পাচ্ছি। জীবনে আর চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। নাটকের ভবিষ্যত খুবই উজ্জ্বল বলে মনে করেন ঈশিতা। তিনি বলেন, করোনাকালে অনেক নাটক দেখা হেয়েছে। নতুন নতুন শিল্পী-নির্মাতার কাজ দেখলাম। যেহেতু বাংলাদেশে এখন প্রচুর নাটক হয় সেহেতু অনেক ভালো নাটক হওয়ার সাথে সাথে একটু মানহীন নাটকও হয়। এটা স্বাভাবিক। আসলে এখনকার নাটকের মান নিয়ে আমি-আপনি যত কথাই বলি সেটা কাজে দেবে না। নীতি-নির্ধারক যারা আছেন তাদের এগিয়ে আসতে হবে। আমার কাছে মনে হয় নাটকের ভবিষ্যত খুবই উজ্জ্বল। কীভাবে নাটকের ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে নেওয়া যায় সেটা তাদেরই ভাবতে হবে। এখন যারা নাটকের শিল্পী অছেন তাদের মধ্যে অনেকেই অনেক মেধাবী। তাদের সুন্দরভাবে কাজের পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে। তাহলেই ভালো কিছু হবে। সবশেষ সামনের পরিকল্পনা নিয়ে ঈশিতা বলেন, ভালো স্ক্রিপ্ট কম আসে। ধরেন দশটা স্ক্রিপ্ট পড়ে দশটার গল্পই যদি একই রকম বা কাছাকাছি হয়। তাহলে কাজ করে তো লাভ নেই! তবে ব্যাটে বলে মিললে অবশ্যই অগামীতে কাজ করার ইচ্ছা আছে। তবে অনেক কাজ করার ইচ্ছা নেই।বছরে তিন-চারটা ভালো কাজ করতে চাই।
Posted ৯:৩৫ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০
dbncox.com | ajker deshbidesh