| সোমবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১
বিশেষ প্রতিবেদক:
সারাদেশের মত কক্সবাজারেও করোনার টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক। প্রথম দিনে জেলায় করোনার টিকা নিয়েছেন ৩৮৯জন।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের সুপার ডা. রফিক উস সালেহীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-মহিলা সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমেদ, জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ, সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া প্রমুখ।
টিকাদান কর্মসূচীতে কক্সবাজারে সর্বপ্রথম করোনার টিকা গ্রহণ করেন কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসাবে টিকা নেন-কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশীদ, তৃতীয় ব্যক্তি হিসাবে টিকা নেন- সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমেদ। এরপর একে একে সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবর রহমান, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অনুপম বড়ুয়া, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের সুপার ডা. রফিক উস সালেহীন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের জেলা সভাপতি ডা. মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. আনোয়ারা, ডা. খায়রুন্নেছা মুন্নী, ডা. ইফফাত সানিয়া সহ জেলার ৩৮৯জন নাগরিক করোনার টিকা গ্রহন করেন।
এর আগে কক্সবাজার জেলা ইপিআই স্টোর থেকে নির্ধারিত তাপমাত্রা বজায় রেখে করোনার ভ্যাকসিনগুলো বিভিন্ন উপজেলা ও রামু সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। জেলায় করোনার ভ্যাকসিন নিতে সরকার নির্ধারিত ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন জনগোষ্ঠির ১৫ ক্যাটাগরীর তালিকা থেকে জেলায় প্রায় ৩৯ হাজার জনের তালিকা তৈরি করা হয়। এরমধ্যে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কক্সবাজার সদর উপজেলায় রেজিষ্ট্রেশন করেন ১ হাজার ব্যক্তি। এর আগে গত ৩১ জানুয়ারী দেশে করোনার টিকা বিতরণের অংশ হিসেবে কক্সবাজার জেলায় পৌঁছে ৮৪ হাজার করোনা ভাইরাসের টিকা।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, জেলায় ৯টি টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। কেন্দ্রগুলো হলো- কক্সবাজার সদর হাসপাতাল, রামু ক্যান্টনমেন্ট হাসপাতাল, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। প্রথমদিন সদর, টেকনাফ, উখিয়া ও রামুতে এই কার্যক্রম চলছে। দ্বিতীয়দিন থেকে একযোগে সব কেন্দ্রে টিকাদান চলবে। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে টিকাদানের ৮টি বুথ স্থাপন করা হয়। টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে স্বাস্থ্যকর্মী, রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকসহ একাধিক টিম কাজ করছে।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়–য়া বলেন, এই টিকা অত্যন্ত নিরাপদ। নির্ভয়ে করোনা ভ্যাকসিন নেয়া যাবে। ভ্যাকসিন নেয়ার পর সামান্য জ¦র জ¦র ভাব দেখা দিতে পারে। এতে কোন পাশর্^প্রতিক্রিয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, আপতত ৫৫ বছরের উর্ধ্বে ব্যক্তিদের টিকা দেয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে ১৮ বছর থেকে সবাই টিকা দেয়া হবে। তবে গর্ভবতীরা টিকা দিতে পারবেন না। জ¦র, সর্দি, কাশি আক্রান্ত ব্যক্তিরাও টিকা নিতে পারবে। করোনায় আক্রান্ত বা প্লাজমা নিয়েছেন এমন ব্যক্তি ৯০ দিন পর টিকা নিতে পারবে। প্লাজমা দিয়েছেন ব্যক্তিরাও টিকা নিতে পারবেন।
৩১ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বেক্সিমকো ফার্মার একটি কাভার্ড ফ্রিজার ভ্যানে করে এসব টিকা এসে পৌঁছায়। কক্সবাজার জেলা ইপিআই সেন্টারে টিকা নিয়ে কাভার্ড ভ্যানটি এসে পৌঁছালে কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান এই টিকা গ্রহণ করেন। ৮৪ হাজার টিকা জেলার ৪২ হাজার জনকে দুই ডোজ করে দেয়া হবে।
Posted ২:০৩ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১
dbncox.com | ajker deshbidesh