| বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক:
মহেশখালীতে সিন্ডিকেট করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করে পরিবেশ ধংসের মাধ্যমে দেদারসে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে কয়েকজন চিহ্নিত ব্যক্তি এমন অভিযোগ স্থানীয় পরিবেশ সংগঠনের। তারা বলেন, মহেশখালী উপজেলা প্রশাসন প্রায় সময় অভিযান করে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও পরে আবারো পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি, অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। অনুসন্ধানে জানাযায়, কয়েকটি সিন্ডিকেটের মধ্যে পৌরসভার সুগাচ মাষ্টারের পুত্র স্বপন এবং হোয়ানক জৈয়রকাটার রশিদের পুত্র সলিম উল্লাহ বেপরোয়াভাব।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, দীর্ঘদিন থেকে পৌরসভার বাসিন্দা স্বপন মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক, পানিরছড়া, ছোটমহেশখালী, সিপাহীর পাড়া এবং বড় মহেশখালীর আশপাশ থেকে অবৈধভাবে আইন অমান্য করে পরিবেশের তোয়াক্কা না করে বালু উত্তোলন করে এই অবৈধ ব্যবসা করে আসছে। সম্প্রতি গত ২৪ মার্চ বিকাল ৫টার সময় মহেশখালী উপজেলাধীন হোয়ানক ইউনিয়নের পানিরছড়া নামক এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন ও পরিবহনের সময় স্বপন পাল (৪৭) কে ডাম্পারসহ হাতেনাতে আটক করে। পরবর্তীতে তার দোষ স্বীকারের ভিত্তিতে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ মোতাবেক ১লক্ষ টাকা অর্থদÐ প্রদান করে। তখন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
স্থানীয়রা জানান, স্বপন বেশ দীর্ঘদিন থেকে পাহাড়ী মাটি বিক্রি করে আসছে। তার রয়েছে প্রায় ১০ থেকে ১২ টি ডাম্পার। জরিমানার পর কৌশল পাল্টে স্বপন এখন খুব ভোর বেলায় আর রাতের বেলায় বালু-মাটি বিক্রি করছে প্রতিনিয়ত।
অন্যদিকে হোয়ানকের জৈয়ারকাটার বাসিন্দা রশিদের পুত্র সলিম উল্লাহও থেমে নেই অবৈধভাবে বালু মহাল থেকে বালু উত্তোলন আর পাহাড়ী মাটি বিক্রি করতে। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, তারও রয়েছে ২ টি ডাম্পার কয়েকজনের সিন্ডিকেট। হোয়ানকের প্রায় পাহাড়ে এই সলিম উল্লাহ সিন্ডিকেট রাতের বেলায় না হয় দিনের বেলায় পাহাড় কাটা, অবৈধ বালু উত্তোলন থেমে নেই। যার কারণে একেিদক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে অপরদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।
অভিযোগের বিষয়ে স্বপনের সাথে যোগাযোগ করার জন্য মোবাইল ফোনের কয়েকবার ফোন দেয়া হয় রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় পরিবেশ সংগঠনের এক নেতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মহেশখালীতে অনেক ব্যক্তি পাহাড় কাটা, অবৈধ বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত। তার মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে পৌরসভার স্বপন আর হোয়ানকের সলিম উল্লাহর নাম আলোচিত। প্রশাসনের উচিত এদের বিরুদ্ধে শুধু জরিমানা শাস্তি দিয়ে এদের এই অবৈধ ব্যবসা থেকে বিরত হবেনা। এমন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত যাতে আর কোন দিন পরিবেশ ধংস করতে সাহস না পায়।
জানতে চাইলে মহেশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, পাহাড় কাটা, অবৈধ বালু উত্তোলন এসবের বিরুদ্ধে মহেশখালী উপজেলা প্রশাসন খুবই তৎপর। এবিষয়ে কাউকে ছাড় দেয়না। যার দরুন স্বপনকে গত মাসেও জরিমানা করা হয় ১ লক্ষ টাকা। ওই সময় তিনি আর কখনো এই ধরণের কাজে জড়িত হবেনা বলে কথা দিয়েছিল। যে এলাকায় হোক না কেন তিনি জনস্বার্থে জনগণকে প্রশাসনকে তথ্য দেওয়ার পাশপাশি লিখিত অভিযোগ দিয়ে ওইসব অবৈধ ব্যবসায়ী ও পরিবেশ ধংসকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহবান করেন।
তিনি আরো বলেন, পরিবেশ রক্ষায় ও জনস্বার্থে মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Posted ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২২
dbncox.com | ajker deshbidesh