দেশবিদেশ প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
পুকুরে আর্টিমিয়া চাষ এবং বাজারজাতকরণ বিষয়ক কর্মশালা ২২ মার্চ কক্সবাজারের সিগাল হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তায় ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ বদরুজ্জামান, বিসিকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার, মোঃ জাফর ইকবাল ভূঁইয়া এবং বিএফআরআই এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ আকতারুজ্জামান। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তের আর্টিমিয়া, চিংড়ি ও মৎস্য চাষি, চিংড়ি হ্যাচারি মালিকগন, মার্কেটিং এজেন্ট। কর্মশালাটি পরিচালনা করেন বেলজিয়ামের ঘেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. প্যাট্রিক সরগেলুস, এবং আর্টিমিয়া ফর বাংলাদেশ প্রকল্পের টেকনিক্যাল টিম লিডার ড. মীজানুর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন ডক্টর মিজানুর রহমান ।তিনি সকলের মাঝে “ আর্টিময়া “ ব্যবহারে সফলতা প্রসঙ্গে কথা বলেন । তিনি বলেন, ‘বর্তমানে পুকুরে উৎপাদিত আর্টিমিয়া এখন চিংড়ি ও মাছের খামারে লাইভ ফিড হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং এটি মাঠপর্যায়ে চাষিরা তাদের মাছের ঘেরে খাদ্য হিসেবে ব্যবহারের জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। তিনি আরো বলেন বিভিন্ন উপজেলায় সফল আর্টিমিয়া চাষিদের দেখে নতুন অনেক চাষি আর্টিমিয়া চাষে আগ্রহী হচ্ছে। অধ্যাপক ডক্টর পেট্রিক সরগোলস চাষীদের “ আর্টিমিয়া “ ব্যাবহার বিধি , নিয়মনীতি এই সব নিয়ে কথা বলেন ।তিনি জানান অন্যান্য দেশে আর্টিময়া ব্যাবহারের খামারীরা ব্যাপক সফলতা অর্জন করছে । এটি ব্যবহারে চিংড়ি ,কাকড়া, প্রচুর উৎপাদন হচ্ছে । দেশের হাজার হাজার পরিবারের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে । আর্টমিয়া সম্পর্কে উপস্থিত চাষীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ডক্টর পেট্রিক এবং ডক্টর মিজানুর রহমান। ওয়ার্ল্ডফিশের টেকনিক্যাল টিম লিডার মিজানুর রহমান বলেন পুকুরে আর্টিমিয়া চাষের গুরুত্ব ও জনপ্রিয়তা বাড়ছে। আর্টিময়া নিয়ে কাজ করা এক চাষী বলেন এটি ব্যাবহার করো তিনি প্রচুর সফলতা পেয়েছেন। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী অতিথিরা বলেন, ‘দরিদ্র লবণ চাষিদের জন্য আর্টিমিয়া চাষ একটি লাভজনক ব্যবসা হিসেবে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে এবং আর্টিমিয়া চাষের ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেলে তা জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।
Posted ১২:৪৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
dbncox.com | Bijoy Kumar