শনিবার ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
শিরোনাম

৮২টি জীবাণু ওষুধেও মরছে না! মারাত্মক ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য

দেশবিদেশ অনলাইন ডেস্ক   |   বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৯

৮২টি জীবাণু ওষুধেও মরছে না! মারাত্মক ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য

বাংলাদেশ ৮২টি রোগের জীবাণু রেজিস্ট্যান্ট বা এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সে পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ প্রয়োগ করেও এদের মারা সম্ভব হচ্ছে না। দেশের ১৫০টি ফার্মাসিউটিক্যালসের ওষুধ নিয়ে গবেষণা করে এ তথ্য বেরা করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় গবেষণাটি সম্পন্ন করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান।

বুধবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান এ তথ্য উপস্থাপন করেন।

তিনি বলেন, রেজিস্ট্যান্সির শীর্ষ তালিকায় রয়েছে, সিপ্রোফ্লক্সাসিন (২১ শতাংশ), অ্যামক্সিসিলিন (১৬.৫ শতাংশ), অ্যাজিথ্রোমাইসিন (১৪ শতাংশ), সেফালোস্ফোরিন (১৩.৩ শতাংশ), মেট্রোনিডাজল (১২.৮ শতাংশ), ফিনক্সি মিথাইল পেনিসিলিন (৯.৩ শতাংশ), ক্লোক্সাসিলিন/ফ্লুক্লক্সাসিন (৬.৫ শতাংশ), অ্যাজল অ্যান্টিফাঙ্গাল (৫ শতাংশ) এবং অন্যান্য (৫.৩ শতাংশ)।

সেমিনারে জানানো হয়, বর্তমানে বিশ্বে যে কয়টি স্বাস্থ্যঝুঁকি মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হয় তার মধ্যে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স অন্যতম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালের কার্যকারিতা হারানোর ঘটনাকে নীরব মহামারি হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

সাধারণ সংক্রমণজনিত রোগব্যাধির চিকিৎসা থেকে শুরু করে যেকোনো ধরনের অপারেশন, এমনকি ক্যান্সার চিকিংসাও অনেকখানি সহজ ও সফল হয়ে উঠেছিল অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালের আবিষ্কারের ফলে। কিন্তু রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার উদ্ভবের ফলে এসব রোগের চিকিৎসা কঠিন বা অসম্ভব হয়ে উঠছে।

অবস্থা আরও জটিল হয়ে উঠেছে অন্যান্য ক্ষেত্রেও। যেমন পশুপালন, মুরগি পালন, মৎস্য চাষ, কৃষিকাজসহ বিভিন্ন খাতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার। আর এ মুহূর্তে পৃথিবীতে যে পরিমাণ এন্টিমাইক্রোবিয়াল ব্যবহৃত হচ্ছে, এর শতকরা ৭০ ভাগই মানুষ ছাড়া অন্যান্য খাতে।

সেমিনারে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মো. মাহবুবুর রহমানসহ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Comments

comments

Posted ৯:৫৯ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৯

dbncox.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

প্রকাশক
তাহা ইয়াহিয়া
সম্পাদক
মোঃ আয়ুবুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়
প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত এবং দেশবিদেশ অফসেট প্রিন্টার্স, শহীদ সরণী (শহীদ মিনারের বিপরীতে) কক্সবাজার থেকে মুদ্রিত
ফোন ও ফ্যাক্স
০৩৪১-৬৪১৮৮
বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন
01870-646060
Email
ajkerdeshbidesh@yahoo.com