দীপক শর্মা দীপু | বৃহস্পতিবার, ১৪ জুন ২০১৮
পাহাড়ধ্বসের ঝুঁকি থেকে বাঁচাতে কক্সবাজারে দ্ইুশত পরিবারের ৫ শতাধিক মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে এনেছেন জেলা প্রশাসন। ১৩ জুন রাত ৯ টা পর্যন্ত এসব ঝুঁকিপূর্ণ বসতি সরিয়ে আনা হয়েছে।
পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ন বসতি সরিয়ে আনতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৬ টি দল অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। আর জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি মনিটরিং দল ঝুঁকিপূর্ন বসতি স্থান ও ঝুঁকিপূর্ণ বসতিদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দেয়ার কার্যক্রম পরিদর্শন করছেন।
কক্সবাজারে টানা বর্ষণের ফলে পাহাড়ধ্বস থেকে জীবন বাঁচাতে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা মরিয়া হয়ে পড়েছেন। প্রশাসনের কর্মকর্তারা পাহাড় থেকে পাহাড়ে ছুটছেন লোকজনকে সরিয়ে নিতে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজি মোঃ আবদুর রহমান জানান, শহরে লাইট হাউস এলাকা থেকে দুইশত, সাহিত্যিকা পল্লী থেকে দেড় শত, বইল্ল্যাপাড়া থেকে অর্ধশত, দক্ষিণ ঘোনারপাড়াসহ পৌরশহরের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকা রাত ৯ টা পর্যন্ত ৫শ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া হয়েছে। এদের পরিবারের সংখ্যা হচ্ছে দুইশত। তাদের জন্য খোলা হয়েছে বিশেষ আশ্রয় কেন্দ্র।
কক্সবাজার আবাহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারনে কক্সবাজারে গত এক সপ্তাহ ধরে প্রবল বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
১৩ জুন রাত ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। বৃষ্টিপাতের কারনে ১২ জুন মহেশখালিতে পাহাড় ধ্বসে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারনে ভূমিধ্বসের আশংকা থাকায় পাহাড় থেকে ঝুঁবিপূর্ণ মানুষের পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ বসতি সরিয়ে নিতে অভিযান অব্যাহত থাকবে থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন। তিনি জানান, ইতিমধ্যে পৌরশহরের ৬ টি ওয়ার্ডে ৮৫১ টি ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের নাম তালিকা করা হয়েছে। এই তালিকা প্রণয়নের কাজও অব্যাহত থাকবে।
Posted ১২:৩৭ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৪ জুন ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh