আব্দুল আলীম নোবেল | বুধবার, ০৭ নভেম্বর ২০১৮
এইজনপদের মানুষের বহুদিনের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ স্ট্যন্ডার্ডস ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) এর ভবনে নির্মিত হয়েছে চলতি বছরের মার্চের দিকে। গূণপূর্ত অধিদপ্তর কক্সবাজার সার্কিট হাউজ সড়কে ৪ কোটি টাকা ব্যায়ে দৃষ্টিনন্দন এই ভবন তৈরি করে দেন। বেশ কয়েক মাস ধরে এই অফিসটি চালু হলেও সেবা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। অনেকটা অফিস আছে কাজ নেই। সূত্রে মতে এই অফিসের জন্য চার জন লোকবল বরাদ্ধ হলেও নিয়মিত কাউকে পাওয়া যায় না। সবসময় অফিসের দরজা থাকে বন্ধ এমন অভিযোগ সাধারণ সেবা প্রার্থীদের। এই অফিসের খালেদ নামে একজনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমার উপরে বস আছে, বসের অনুমতিছাড়া কিছু বলতে পারবো না, সেই বসের নাম্বার নিতে চাইলেও তাহার নাম্বার দিতে নারাজ খালেদ। বিএসটিআই’র সেবামূলক কার্যক্রম জনগনের নিকট পৌছানোর লক্ষ্যে বিএসটিআই প্রধান অফিস ছাড়াও ৫টি আঞ্চলিক অফিস কাজ করে যাচ্ছে সারাদেশে। ঐ সকল অফিসের মাধ্যমে জনগোষ্ঠী বিএসটিআই এর সেবা গ্রহনে সক্ষম হচ্ছে। তবে কক্সবাজার অফিসে চত্রি ভিন্ন, সরকার সাধারণ মানুষেল সেবার দোড়গোড়ায় এমন সুযোগ সুবিধা পৌছে দিলেও কর্তৃপক্ষের চরম খাম খেয়ালি পনার কারণে বদনামে ভাগিদার সরকার। দেশের একমাত্র জাতীয় মান সংস্থা বিএসটিআইকে একটি শক্তিশালী ও কার্যকর মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তোলা এমন ভিশন থাকলেও এই অফিসের জন্য বাস্তবতা উল্টো।
বিএসটিআই এর আইনের আওতায় পণ্য ও সেবার মান প্রণয়ন এবং গুণগতমান ও পরিমাপ নিশ্চিতকরণসহ এতদসংশ্লিষ্ট সেবাসমূহকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীতকরণের পাশাপাশি ভোক্তা স্বার্থ রক্ষাসহ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে সহায়ক ভূমিকা পালন করা এমনটি বলা হলে এখানে কাজের কাজ কিছুই নেই। খোদ কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সাথেও তাদের কোন যোগাযোগ নেই। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন জানান, এই অফিসের বিষয়ে এখনো আমাকে কিছু জানায় নি। তবে বিষয়টি খোজখবর নিয়ে দেখবো।
বিএসটিআই’র দায়িত্ব : দেশের মান নিয়ন্ত্রণকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএসটিআই’র মূল দায়িত্ব হচ্ছে। দেশে উৎপাদিত শিল্পপণ্য, বৈদ্যুতিক ও প্রকৌশল পণ্য, খাদ্য ও কৃষিজাত পণ্যের প্রক্রিয়া ও পরীক্ষণ পদ্ধতির জাতীয় মান প্রণয়ন। প্রণীত মানের ভিত্তিতে পণ্যমাসগ্রীর গুণগত মান পরীক্ষণ/বিশ্লেষন এবং পণ্যের গুণগত মানের নিশ্চয়তা বিধান। দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মেট্রিক পদ্ধতির প্রচলন, বাস্তবায়নসহ ওজন ও পরিমাপের সঠিকতা তদারকি ও নিশ্চিতকরণ। সুষ্টুভাবে এ সকল কর্মকান্ড সম্পাদনের মাধ্যমে দেশে শিল্পের বিকাশ, মান সম্পন্ন পণ্য উৎপাদন এবং পণ্য মানকে বর্তমান মুক্তবাজার অর্থনীতির প্রতিযোগিতায় উপযোগী করে তোলা বিএসটিআই’র লক্ষ্য। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে অবাধ বাণিজ্যের পরিবেশে পণ্য মানকে আন্তর্জাতিক বাজারের উপযোগী করে তুলতে বিএসটিআই কাজ করে যাচ্ছে।
৬। জনসাধারন/ভোক্তা সাধারণকে বিভ্রান্তি ও হয়রানির হাত হতে রক্ষার্থে সকল প্যাকেটজাত পণ্যের উপর যথাযথ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ‘‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড ওজন এবং পরিমাপ (পণ্যসামগ্রী মোড়কজাতকরণ) বিধিমালা, ২০০৭’’ শিরোনামে একটি বিধি প্রণয়ন করা হয়েছে। উক্ত বিধিমালা অনুযায়ী পণ্যের মোড়কে উৎপাদিত পণ্যের উপাদান, প্রকৃত ওজন, উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ, খুচরা বিক্রয়মূল্য ইত্যাদি সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
৭। বিএসটিআই’র সেবামূলক কার্যক্রম আরো স্বচ্ছ ও ত্বরান্বিত করতে সিটিজেন চার্টার (নাগরিক অধিকার সনদ) তৈরী করা হয়েছে। যেখানে বিএসটিআই’র সেবা ধর্মী কার্যক্রম সম্পাদনের সময়সীমা নির্ধারন এবং এসব সেবা পেতে কি হারে ফি দিতে হবে তার উল্লেøখ রয়েছে। সিটিজেন চার্টারটি জনগনের জন্য বিএসটিআই ওয়েবসাইটে সন্নিবেশ করা আছে।
৮। ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার :
নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী সকল সেবা এক জায়গা থেকে প্রদানের লক্ষ্যে ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০০৮ তারিখ থেকে বিএসটিআইতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার চালু করা হয়েছে। এ সেন্টারের সেবা সমূহঃ
ক) জনসাধারণকে সিটিজেন চার্টার মোতাবেক নির্ধারিত সময়ে পন্য পরীক্ষণ প্রতিবেদন প্রদান নিশ্চিত করা;
খ) অকৃতকার্য পণ্যের ক্ষেত্রে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অকৃতকার্যতার কারণসহ পরীক্ষণ ফলাফল গ্রাহককে অবহিত/সরবরাহ নিশ্চিতকরণ;
গ) এসএমই শিল্প এবং মহিলা উদ্যোক্তাদের দ্রুত সেবা প্রদান;
ঘ) পণ্যের গুণগত মানের লাইসেন্স দ্রুত প্রদান;
ঙ) মিডিয়া সেলের মাধ্যমে স্বচ্ছতা আনয়ন;
চ) মান বিক্রয়।
ছ) স্বেচ্ছায় লাইসেন্স গ্রহনেচ্ছু উদ্যোক্তাদের জন্য (ঠ.চ.ঈ.ঝ ) বিশেষ কাউন্টার স্থাপন এবং সেবা প্রদান নিশ্চিতকরণ।
Posted ২:০২ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৭ নভেম্বর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh