দেশবিদেশ রিপোর্ট | বৃহস্পতিবার, ৩১ জানুয়ারি ২০১৯
কক্সবাজার শহরে জবর দখল করা ৭৮ একরের সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত একটি পাহাড় গতকাল বুধবার দখলমুক্ত করা হয়েছে। এ পরিমাণ জমির বর্তমান বাজার দর কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকা। শহরের লাইট হাউজ ফাতেরঘোনা এলাকার সরকারি এই পাহাড়টি দখলমুক্ত করতে গত দুদিন ধরে প্রশাসনের যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। গতকালের অভিযানে পাহাড় কেটে অবৈধভাবে নির্মিত কমপক্ষে এক ডজন পাকা ভবন গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন বিভাগ যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট সেলিম শেখ জানিয়েছেন, বেশ ক’বছর ধরে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি এই পাহাড়টির কাটা শুরু করা হয়। পাহাড় খেকোরা খ- খ- করে পাহাড়টি কেটে জবর দখলে নেয়। এরপর সেই সরকারি পাহাড়ী জমিতেই কেউ বস্তি নির্মাণ করে আবার কেউ পাকা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে দেয়। কক্সবাজার পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ফাতেরঘোনা নামক সরকারি পাহাড়ের ৭৮ একর জমির পাহাড় ঘিরে দখলবাজরা বেপরোয়া হয়ে পড়েছে দীর্ঘদিন ধরে। পাহাড়ের দখল নিয়ে কেনাবেচার ঘটনাও ঘটেছে অহরহ। সেই পাহাড়টির পার্শ্ববর্তী ডিসি পাহাড়ের সরকারি জমিও ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে কেনাকাটা হয়েছে দেদারছে। গত দুদিন ধরে চলা যৌথ অভিযানে রয়েছে দুদকের একজন কর্মকর্তাও। জানা গেছে, দুদকের উপ পরিচালক লুৎফুর কবির চন্দন সরকারি পাহাড়ের জমি বেচা কেনার বিষয়টির সন্ধান করে যাচ্ছেন। কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. হুমায়ূন কবীর জানান, উচ্ছেদ করা সরকারি জমিতে বন বিভাগ বনায়নের কাজ শুরু করবে। তিনি বলেন, এভাবে সরকারি জমি জবর দখল হতে থাকলে অবশিষ্টই আর থাকবে না। এ কারণে বিপুল পরিমাণ (এরপর পৃষ্ঠা-২ ঃ কলাম- ৫ )
জমি উদ্ধার
সরকারি জমি নিয়ে আনসার ক্যাম্প স্থাপন করা যায় কিনা তাও চিন্তা করে দেখা হচ্ছে।
Posted ১২:৩২ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩১ জানুয়ারি ২০১৯
dbncox.com | ajker deshbidesh