দেশবিদেশ রিপোর্ট | শুক্রবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৮
কক্সবাজার সাগর পাড়ের একটি হোটেলের গোপন বৈঠক থেকে জামায়াত-শিবিরের ১৭ জন নেতা কর্র্মীকে র্যাব সদস্যরা গতকাল শুক্রবার রাতে আটক করেছে। সাগর পাড়ের একটি হোটেলে বসে গোপন বৈঠক করাকালেই র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের সদস্যরা এ অভিযান পরিচালনা করে। আটক জামায়াত-শিবির নেতা কর্মীরা আগামী নির্বাচন সামনে নিয়ে নাশকতার পরিকল্পনা এবং আজ (শনিবার) চট্টগ্রামে অনুষ্টিতব্য ঐক্য ফ্রন্টের সভায় যোগ দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে গোপন বৈঠকে বসেছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। র্যাবের অভিযানে আটক জামায়াত-শিবিরের নেতা কর্মীদের রাতেই কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন খন্দকার রাতে জানিয়েছেন, কক্সবাজার সাগর পাড়ের বে-টাচ নামের একটি হোটেলে জামায়াত-শিবিরের এ বৈঠক বসেছিল। বে-টাচ হোটেলটি জামায়াতের মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা মীর কাসেম আলী সহ কেন্দ্রীয় অন্যান্য জামায়াত নেতাদের মালিকানাধীন ডেভেলপার কম্পানী মিশন গ্রুপের মালিকানাধীন। জানা গেছে, বর্তমানে হোটেলটি কিশোরগঞ্জের ক্ষমতাসীন দলের এমপি এবং প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাব হোসেনের জামাতা আমজাদ হোসেনের পরিচালনাধীন অবস্থায় রয়েছে। হোটেল পরিচালনার অনুমতি পত্রও রয়েছে আওয়ামী লীগ নেতার নামে।
হোটেলটির ম্যানেজার আওলাদ গতরাতে জানিয়েছেন, জামায়াত-শিবিরের আটক হওয়া নেতা কর্মীরা টেকনাফে আরো একটি হোটেল করার জন্য হোটেলটিতে বৈঠকের আয়োজন করেছিল। তারা এজন্য ২০ জনের দুপুরের খাবারেরও (এরপর পৃষ্ঠা-২ ঃ কলাম- )
কক্সবাজার
অর্ডার দিয়েছিল। সেই বৈঠকে অরিজিন হাসপাতালের পরিচালনা পরিষদের ব্যানারও ছিল। বিকাল ৩ টার দিকে র্যাব সদস্যরা গিয়ে হোটেলটির এ বৈঠক ঘিরে ফেলে। পরে রাতে আটক করে তাদের হস্তান্তর করা হয় সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে।
থানার ওসি আরো জানান, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কোট বাজার ষ্টেশনে জামায়াত-শিবিরের পরিচালিত অরিজিন হাসপাতালের মাসিক সভার নামেই এ গোপন বৈঠক করা হচ্ছিল। আটক জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীদের মধ্যে রয়েছেন জামায়াতের ৯ জন রুকন পর্যায়ের নেতা। কক্সবাজার সদর মডেল থানায় আটক নেতা-কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে।মারের সিগারেট
Posted ১১:৪৩ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh