সাইফুল ইসলাম | রবিবার, ২৯ জুলাই ২০১৮
টানা বর্ষণে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের শহর ও শহরতলীর প্রধান সড়ক ও উপ-সড়কের বেহাল দশা বিরাজ করছে। যাতে প্রতিনিয়তেই জনদূর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে। পৌর এলাকার প্রধান সড়কের কিছু কিছু অংশ ঠিক থাকলেও পুরো পৌরসভার অলিগলি সড়ক উপসড়ক এখন খানাখন্দকে ভরপুর। সচেতন মহলের দাবি- কক্সবাজার শহর বিশ্বের কাছে একটি পর্যনট নগরী হিসেবে পরিচিত। তাই এখানকার সড়কের এমন অবস্থা হয়েছে তা-নিজেদের লজ্জিত মনে হচ্ছে। বলতে গেলে কোন কোন সড়ক দিয়ে চলাচল একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। শহরের প্রধান সড়ক ও উপ-সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়তই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাসপাতালে আসা রোগি, রোগির স্বজন-সহ দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজারো জনসাধারণ। পাশাপাশি চরম ভোগান্তির শিকারও হচ্ছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার প্রায় ওয়ার্ডের সড়ক উপসড়কের টেন্ডার হলেও কাউন্সিলর, ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ারের অবহেলা ও দূর্নীতির কারণে সংস্কার হচ্ছে না। এমনকি মাঝে মধ্যে কোন সড়ক সংস্কার হলে নি¤œমানের দ্রব্যসামগী ব্যবহার করায় সড়কের মেয়াদ ৬ মাসও টেকসই থাকেনা। এর কারণে পিচ-খোয়া উঠে তৈরি হয়েছে ছোট ছোট অসংখ্য গর্ত ও খানা-খন্দক। জানা যায়, প্রতিদিন এই সড়কে হেলেদুলে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। সড়কে নিত্যদিন যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। রাস্তার বেহাল দশা ও ভোগান্তির যন্ত্রণায় ইদানীং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে ক্ষোভের অনুভূতি প্রকাশ। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, কক্সবাজারের শহর ও শহরতলীর প্রায়ই সড়ক উপসড়ক খানা-খন্দকে ভরপুুর। বিশেষ করে লিংক রোডে স্পটে,্উপজেলা গেইটে, বাসটার্মিনাল, আলির জাহাঁল প্রধান সড়কে, গোদার পাড়ার বিভিন্ন অলিগলিতে, চৌধুরী ভবনের সামনে প্রধান সড়কে, দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া এবিসিঘোনার অলিগলিতে, আশুঘোনা এলাকায়, পাহাড়তলীর অলিগলিতে, বাজার ঘাটায় বাচাঁ মিয়ার ঘোনায়, কলাতলীর বিভিন্ন অলিগলি-সহ প্রায়ই প্রধান সড়ক ও উপ-সড়কের ছোট ছোট গর্ত ও খানা খন্দকে ভরপুর। এমনকি কোন কোন জায়গায় একেবারেই চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
জায়গায় শুধু পিচই নয় খোয়াও উঠে গেছে। শুধু যানবাহন নয়, পথচারীদের চলাফেরায়ও অসুবিধা হচ্ছে। প্রায় একই অবস্থা দেখা গেছে পুরো পৌর এলাকাজুড়ে। এমনকি পর্যটন স্পট কলাতলীর অলিগলিতে সড়কে জলাবদ্ধতা ও চলাচল অনুপোযোগী হয়ে পড়ে আছে। গোদার পাড়া এলাকার বাসিন্দা, মানবাধিকার কর্মী ও নর্থ রুমালিয়ারছরা ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর হোসাইন বলেন, দীর্ঘ ত্রিশ বছর ধরে ইউনিয়ন পরিষদ এবং পরবর্তীতে পৌরসভার অর্ন্তভুক্ত হবার পরও গোদার পাড়া সড়কটি পাকা করা হয়নি। যার ফলে প্রতি বছর বর্ষার সময়ে এলাকার মানুষের দূর্ভোগ পোহাতে হয়। নির্বাচনের আগে কাউন্সিলর ও মেয়ররা সড়কটি পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিলেও তাদের কথায় ছিড়া কখনো ভিজতে দেখা যায়নি। এ বিষয়ে নব-নির্বাচিত মেয়র মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন- এখানো তিনি আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব গ্রহন করেননি। কক্সবাজার পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাত করেছি। তাদেরকে বলেছি পৌরসভার প্রধান সমস্যা চিহ্নিত করতে। দায়িত্ব নেয়ার পরে যাতে আমার কাজের গতি বৃদ্ধি পায় এবং শহরবাসীর স্বপ্নের হেলদি টাউন বাস্তবে রুপ দিতে পারি।
দেশবিদেশ/২৯ জুলাই ২০১৮/নেছার
Posted ১০:১৭ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৯ জুলাই ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh