মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া | শনিবার, ২৮ জুলাই ২০১৮
‘চকরিয়া খোদারকুম থেকে থানা সেন্টার পর্যন্ত রাস্তায় মাছের ঘের তৈরি করা হয়েছে, ইতিপূর্বে অনেক লেখালেখীর পরও আমাদের মাননীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান, সদস্য, উপজেলা প্রশাসনের কোন কর্মকর্তা মহোদয়দের নজরে আসেনি, এই রাস্তা দিয়ে চকরিয়া-পেকুয়া, বদরখালী-মহেশখালীর দৈনিক হাজার হাজার জনগন যাতায়ত করে, কিন্তু এই জনগণের কষ্টের দৃশ্য কোন জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসনের কোন কর্মকর্তার চোখে পড়েনা??’ সড়কের বেহাল অবস্থা দেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন কছির এসব কথা তুলে ধরেন। তিনি আরো লিখেন, চোখে পড়বেইবা কি করে আপনারা ত সরকারী কোটি টাকার গাড়িতে চোখে কালো চশমা দিয়ে চলাফেরা করেন, সাধারণ জনগণের কষ্টের দৃশ্য আপনাদের চোখে পড়ার কথা না!!! সড়ক ও জনপথ বিভাগের জেলা প্রকৌশলী কি এতই ক্ষমতাধর ব্যক্তি?? আপনাদের একটা টেলিফোনে এই সমান্য সমস্যা দুর হওয়ার কথা?? কিন্তু আপনারা কি তাকে একবার টেলিফোন করা কড়া ভাষায় রাস্তা মেরামতের জন্য শাসাতে পারেন না?? চকরিয়ার গুরুত্ব পূর্ণ সকল ভিআইপিদের চলাচলের রাস্তার যদি এই অবস্থা হয় অন্য জায়গার কি অবস্থা হবে একমাত্র আল্লাহ্ জানে। আপনারা যারা চকরিয়া-পেকুয়া, বদরখালী-মহেশখালীতে মাছের চাষ করেন,আপনারা মাছের পোনা ঘেরে না দিয়ে খোদারকুম থেকে থানা সেন্টার,থানা সেন্টার থেকে কোট সেন্টার পর্যন্ত রাস্তার উপরে নতুন করে মাছের ঘের তৈরি করা হয়েছে ওখানে এনেই চাষ করেন,তাতে ভালো বাম্পার ফলন হবে বলে।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, আর এগুলো চকরিয়ার কোন সাংবাদিকদের ও চোখে পড়েনা, তারও কালো চশমা দিয়ে থাকে। ক্ষোভ প্রকাশ করার কারণ হচ্ছে, চকরিয়া-বদরখালী-মহেশখালী আঞ্চলিক সড়কের চকরিয়া পৌরশহরের থানা সেন্টার এলাকার বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ওই অঞ্চলের মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলতে থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন উদ্যাগ না নেয়ায় তার মতো এলাকার আরো অনেক সচেতন মানুষ ফেসবুকে সড়কের ছবি দিয়ে পোস্ট করেছেন। তারপরও টনক নড়েনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত গাড়ি চলাচল করে। এসব গাড়ি চকরিয়া-বদলখালী হয়ে মহেশখালী এবং পেকুয়া-আনোয়ারা হয়ে চট্টগ্রাম যাতায়াত করে। সড়কটির অনেক অংশেই কার্পেটিং উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় নিদারুন কষ্ট হচ্ছে চালকসহ যাত্রীদের। এমনকি গর্তে আটকে মাঝে মাঝে সড়কের উপরেই বিকল হয়ে যাচ্ছে গাড়ি। এই সড়ক দিয়ে বাস- ট্রাক, মাইক্রোবাস, নছিমন-করিমন, ট্রলি (বালুবাহী), ইজিবাইক, ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। তাছাড়া এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের গাড়ি।
ইজিবাইক চালক মোক্তার আহমদ জানান, রাস্তায় নানা স্থানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া খানাখন্দের কারণে গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ অল্প সময়ের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। এতে করে লোকসানে পড়তে হচ্ছে তাদের। তাছাড়া অতিরিক্ত ঝাঁকির কারণে যাত্রীরাও উঠতে চায় না গাড়িতে। স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস আগে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্টান সড়কটির ভাঙ্গা অংশ বিটোমিন ছাড়াই ইট-বালু দিয়ে যেনতেন ভাবে মেরামত করেন। পরে বৃষ্টি শুরু হলে সেসব ইট উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসড়ক টেকসইভাবে নির্মাণ করা দরকার বলেও জানান তারা। সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) চকরিয়ার উপ-প্রকৌশলী আবু আহসান বলেন, এই সড়কটি মুলত চকরিয়া-বদরখালী সড়ক। সড়কটি বহুবার মেরামত করা হয়েছে। এই সড়কটি পুনরায় নির্মাণের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই সড়কের কাজ শুরু হবে। সড়কের ব্যাপারে জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, সড়কটির বেহাল অবস্থা নিয়ে আমি গত তিনমাস ধরে সওজে’র কর্মকর্তাদের বলে আসছি। গত তিনদিন আগেও তাদের বলেছি সড়কটি যাতে দ্রুত মেরামত করা হয়।
তিনি আরো বলেন, আমি বিষয়টি ডিসি স্যারকে সড়কটির বিষয়ে লিখিতভাবে জানাবো।
দেশবিদেশ /২৮ জুলাই ২০১৮/নেছার
Posted ১০:৪৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৮ জুলাই ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh