আবদুল আজিজ: | রবিবার, ০৭ মার্চ ২০২১
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমন করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান। ১৯৬৯ সালে কক্সবাজার সফরের এক পর্যায়ে সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য্য উপভোগ করেছেন। তৎকালিন সময়ে কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া ঝাউতলাস্থ পূরোনো সায়মন হোটেলে বঙ্গবন্ধুর সম্মানে আয়োজিত ক্যান্ডেল লাইট ডিনারও করেছিলেন। এমনই কিছু দুর্লভ ছবির কর্ণার করেছেন তারকামানের হোটেল সায়মন বিচ রিসোর্ট। এছাড়াও তৎকালিন সময়ে অন্তত ১২বার কক্সবাজার সফর করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান।
কক্সবাজার সায়মন বীচ রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহবুবুর রহমান জানান, ১৯৬৯ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান কক্সবাজার সফরের সময় হোটেল সায়মানে ডিনার করেন এবং সৈকতের সৌন্দর্য্য উপভোগ করেন। ওই সময়ে তার পিতা সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী প্রকৌশলী মোশারফ হোসেন বঙ্গবন্ধুর সাথে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু পর তার দুই মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহেনাও সায়মন হোটেলে অতিথি হয়ে এসেছিলেন।
কক্সবাজারের সিনিয়র সাংবাদিক তোফায়েল আহমদ জানান, ‘জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান সর্বপ্রথম ১৯৫৮ সালে কক্সবাজার সফর করেন। সর্বশেষ ১৯৭৫ সালের ১০ জানুয়ারি কক্সবাজার সফর করেছিলেন। এভাবে তিনি বিভিন্ন কারণে ১৩ থেকে ১৪ বার কক্সবাজার এসেছিলেন।
কক্সবাজারকে ঘিরে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের অবদানের কথা উল্লেখ করে সাংবাদিক তোফায়েল আহমদ আরও জানান, ওই সময়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বালুকাময়ে ১০০ একর জমিতে ঝাউগাছ বনায়নের নির্দেশনা দেন বনবিভাগকে। যার কারণে প্রাকৃতিক ঘূর্ণিঝড় ও সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস থেকে উপকুলীয় অঞ্চল রক্ষা এবং সৈকতের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বিশ্বের এই দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করেছে। বর্তমান সময়ে এসে কক্সবাজার শহরের গুরুত্ব বেড়েছে এবং বিকাশ ঘটেছে পর্যটন শিল্পের।
কক্সবাজারের তরুন লেখক কালাম আজাদ তার একটি গ্রন্থে লিখেছেন- ‘স্বাধীনতা পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ১২বার কক্সবাজার সফর করেছেন। কক্সবাজারের রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা অনবদ্য। বঙ্গবন্ধুর জন্মের শতবর্ষ পেরিয়ে যাচ্ছে অথচ কক্সবাজারে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো গবেষণা হয়নি, এ বিষয়ে রচিত হয়নি একটিও স্বতন্ত্র গ্রন্থ। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বুকে নিয়ে কক্সবাজারে এখনো অনেক প্রবীণ ব্যক্তি জীবিত আছেন। আরো বিলম্ব করলে হয়তো তারা সবাই গত হয়ে যাবেন। তাই কক্সবাজারে বঙ্গবন্ধুর আগমন ও অবদানের ইতিহাস সংরক্ষণের এটাই সর্বোচ্চ সময়। আরো দেরি করলে অনেক ইতিহাস হয়তো চলে যাবে ইতিহাসের আড়ালে। তাই কক্সবাজারের একজন সচেতন বাসিন্দা হিসেবে, বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে নিজের তাগিদ ও দায়িত্ববোধ থেকেই কক্সবাজারে বঙ্গবন্ধু বিষয়ে অনুসন্ধানে নামি।
##
Posted ২:৩৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৭ মার্চ ২০২১
dbncox.com | ajker deshbidesh