| রবিবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৮
দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে এটি সীমিত থাকবে। পর্যায়ক্রমে নিষিদ্ধ করা হবে। নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হবে পর্যটকদের রাত্রিযাপন। পাশাপাশি পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে সেন্টমার্টিনদ্বীপে কিভাবে পর্যটকের ঢল নিয়ন্ত্রণ করা যায়। প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনকে রক্ষা করতেই এমন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
এমন তথ্যই জানালেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। গতকাল শনিবার (২৭ অক্টোবর) সকালে কক্সবাজারে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। শহরের হিল ডাউন সার্কিট হাউজে ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপের বিরল জীববৈচিত্র্য এবং প্রতিবেশ সংরক্ষণ’ শীর্ষক কর্মশালাটির আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ আরো বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে আর কোন নতুন স্থাপনার অনুমোদন দেয়া হবে না। বর্তমান সময়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন ব্যবসা রমরমা। কিন্তু এর সুফল পাচ্ছে না স্থানীয়রা। এই দ্বীপের উন্নয়নে স্বল্প, মধ্য, এবং দীর্ঘমেয়াদের তিন ধাপের পরিকল্পনা নেয়া হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বার্থ রক্ষা করে দ্বীপকে পরিবেশবান্ধব পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তর করা হবে।
দেশের মহামূল্যবান এই দ্বীপের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে রাতে বাতি জ¦ালানো নিষিদ্ধ করা। দ্বীপের সৈকতে মোটর সাইকেল, দুই চাকার অযান্ত্রিক সাইকেলের চলাচল নিষিদ্ধ করে পরিবেশ বান্ধব পর্যটন শিল্প স্থাপনের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ উল্লিখিত কারণে দ্বীপের কোন ধরনের ক্ষতি হচ্ছে তা প্রজেক্টরের সাহায্যে দেখানো হয়।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ্ আল মোহসীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত সচিব মুজাহিদ হোসেন ও ড. নুরুল কাদির, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক ড. সুলতান আহমেদ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) চেয়ারম্যান লে.কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক মোঃ মাাহিদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেনসহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ,পর্যটন ব্যবসায়ী এবং সেন্টমার্টিনের স্থানীয় বাসিন্দারা বক্তব্য রাখেন।
সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল্লাহ্ আল মোহসীন চৌধুরী বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের ১০৪ টি অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়ে মানসম্মত দ্বীপে রূপান্তর করা হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য ক্ষতিকর কোন পরিকল্পনা সরকার গ্রহণ করবে না।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সুলতান আহমেদ বলেন, সেন্টমার্টিনের প্রবাল মরে যাচ্ছে। সুপেয় পানির স্তর নষ্টের পথে। এভাবে চলতে থাকলে আগামি ১০ বছর পর এই দ্বীপে কোন পর্যটক ভ্রমণ করতে যাবে না।
Posted ২:১০ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh