| সোমবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়ায় পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার চার্জশীট গ্রহণ করেছে আদালত। একই সঙ্গে এই মামলার পলাতক আসামী টেকনাফ থানার সাবেক এএসআই সাগর দেবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। সোমবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের জেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহ এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট ফরিদুল আলম বলেন, গত ১৩ ডিসেম্বর র্যাবের তদন্ত কর্মকর্তার দেয়া চার্জশীট গ্রহণ করেছে আদালত। একই সঙ্গে এ মামলার পলাতক আসামী এএসআই সাগর দেবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে। এছাড়াও টেকনাফ থানা পুলিশের দায়ের করা মামলার আসামী সিফাত ও শিপ্রাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
দীর্ঘ চার মাস আট দিন তদন্ত শেষে টেকনাফ থানার আলোচিত ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে আসামী করে চার্জশীট দেয় র্যাবের তদনন্তকর্মকর্তা মো. খায়রুল ইসলাম। এএসআই সাগর দেব পলাতক বলে উল্লেখ্য করা হয়। র্যাবের তদনন্তকর্মকর্তা মো. খায়রুল ইসলাম জানান, গত ১৩ ডিসেম্বর এই মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় আদালতে। ২১ ডিসেম্বর (সোমবার) মামলার শুনানী শেষে আদালত মামলাটি গ্রহণ করে। টেকনাফ থানার পুলিশের করা দুইটি মামলার তদন্ত শেষে ফাইনাল রিপোর্ট দেয়া হয়। এই দুইটি মামলার ফাইনাল রিপোর্ট আদালত গ্রহণ করে। এই মামলার আসামী শিফাতকে আদালত খালাস দিয়েছে।
প্রসঙ্গত গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে গাড়ী তল্লশীকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাখেদ খান।
এ ঘটনায় গত ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়েছে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামী করে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয় জন পুলিশ সদস্যকে আসামী করা হয়। আদালত মামলাটির তদন্ত করার আদেশ দেন র্যাবকে।
এরপর গত ৬ আগস্ট প্রধান আসামী লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
পরবর্তীতে সিনহা হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সংশ্লিতা পাওয়ার অভিযোগে পুলিশের দায়ের মামলার ৩ জন স্বাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টের দায়িত্বরত আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এছাড়া একই অভিযোগে পরে গ্রেপ্তার করা হয় টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক সদস্য কনস্টেবল রুবেল শর্মাকেও।
মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ১৪ আসামীদের র্যাবের তদন্তকারি কর্মকর্তা বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এদের মধ্যে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া ১২ জন আসামী আদালতে ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
Posted ৮:৪৪ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২০
dbncox.com | ajker deshbidesh