বার্তা পরিবেশক | বুধবার, ২৯ আগস্ট ২০১৮
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কক্সবাজার-২(মহেশখালী-কুতুবদিয়া) সংসদীয় আসনের অন্যতম মনোনয়ন প্রত্যাশী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরে বেড়ে উঠা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি মেধাবী ছাত্র নেতা ওসমান গণি ধারাবাহিক ভাবে চষে বেড়াচ্ছেন মহেশখালী-কুতুবদিয়ার প্রত্যন্ত এলাকা।তারই অংশ হিসেবে গত সোমবার ২৭/০৮/২০১৮ ইং তারিখ দিন ব্যাপী গণসংযোগ ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ও মাতারবাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা।সকাল ১১টার দিকে মহেশখালীর উত্তরাংশের প্রবেশদ্বার চালিয়াতলীতে পৌছালে সৃষ্টি হয় আম-জনতার মাঝে উৎসবের আমেজ।উত্তর মহেশখালী বাসীর দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্ন যাকে ঘিরে আবর্তিত সেই প্রিয় নেতাকে কাছে পেয়ে আনন্দের ফল্গুধারা ছড়িয়ে পড়ে এলাকাবাসীর মাঝে।সবার সাথে একে একে কুশল বিনিময়, তাদের ভাল-মন্দের খোজ-খবর নেন।আবেগে আপ্লুত জনতা তাদের প্রিয় নেতাকে নিয়ে আগামীদিনের নেতৃত্বে এগিয়ে নেওয়ার দৃঢ প্রত্যয় এবং মহান আল্লাহর দরবারে বিভিন্ন সময়ে দোয়া মাহফিলের আয়োজনের কথা জানান।সেখান থেকে বিদায় নিয়ে ধারাবাহিকভাবে উত্তর নলবিলা,আফজলিয়া পাড়া,মারাক্কা ঘোনার অলি-গলি, চায়ের দোকান সহ বিভিন্ন পয়েন্টে আম-জনতার সাথে মিশে গিয়ে ব্যাপক গণসংযোগ অব্যাহত রাখেন।এ সময় সর্বস্তরের জনগণের ব্যাপক সাড়া পরিলক্ষিত হয়।দুপুর ২ টার দিকে ইউনুছ খালী নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ও বিশিষ্টজন প্রয়াত মাষ্টার আবু সৈয়দের নামাজে জানাজায় অংশ নেন।ইউনুছ খালী নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নামাজে জানাজার বিশাল জমায়েতে উপস্হিত মুসল্লিদের মাঝে সংক্কিপ্ত বক্তৃতা করেন।সমাবেত মুসল্লিদের সামনে দেয়া বক্তৃতায় তিনি বলেন”প্রয়াত মাষ্টার আবু সৈয়দ সাহেব ছিলেন এতন্ঞলের একজন প্রবীণ শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক। তার হাতে শিক্ষা নিয়ে অনেকে আজ সমাজে প্রতিষ্ঠিত।জন্মিলেই মরিতে হবে,এ কঠিন সত্য সবাইকে মেনে নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে হয়।।আজকের এই বিশাল জমায়েত প্রমাণ করে উনি কত বড় মানের সামাজিক ব্যক্তিত্ব এবং মানুষ গড়ার কারিগর ছিলেন।তার কর্মের মাঝেই তিনি আজীবন আমাদের মাঝে বেচে থাকবেন।আমাদের আজকের করণীয় তার আত্বার মাগফিরাত কামনা করা যাতে তিনি পরকালে শান্তিতে ঘুমাতে পারেন,মহান আল্লাহ পাক যেন হাজার হাজার মুসল্লির দোয়ার বরকতে তাকে কবরের আযাব হতে মুক্ত করে দেন।।বেলা ২:৩০ মিনিটের দিকে জানাজা শেষে ইউনুছখালী বাজারে ব্যাপক গণসংযোগ শেষে স্হানীয় সামাজিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ে এক মত বিনিময় সভায় মিলিত হন।মতবিনিময় সভায় উপস্হিত সূধী জন ও তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন””মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কঠোর পরিশ্রম ও আত্বত্যাগের ফলে বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে।পার্শ্ববর্তী দেশ গুলোকে পিছনে ফেলে উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ আজ অনেক এগিয়ে।আপনাদের কালারমারছড়ার সোনারপাড়ায় আপনারা তার প্রাথমিক নমুনা দেখতে পাচ্ছেন।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মিশন উন্নয়নের হাব মহেশখালীর প্রাথমিক নিদর্শন “”সোনারপাড়াস্হ ইস্টার্ণ রিফাইনারী তথা তৈল শোধনাগার কেন্দ্র। যা বাস্তবায়িত হলে এটি হবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় তৈল শোধনাগার কেন্দ্র, এটিকে কেন্দ্র করে কালারমারছড়া ইউনিয়নে সম্প্রসারিত হবে দেশী-বিদেশী ব্যবসায়ীদের ব্যবসা-বাণিজ্য।হু হু করে মূল্য বেড়ে যাবে আপনাদের জায়গা-জমির দাম।পার্শবর্তী উত্তর নলবিলায় প্রস্তাবিত বিশেষ অর্থনৈতিক অন্ঞল বাস্তবায়ন শেষ হলে পাল্টে যাবে কালারমারছড়ার বর্তমান দৃশ্যপট।তাই দেশকে এগিয়ে নিতে উন্নত বিশ্বের তালিকায় নাম লেখাতে হলে তৃতীয়বারের মত বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্র পরিচালনার দ্বায়িত্বভার অর্পণ করতে হবে।।বিনপি-জামায়াতের অপপ্রচারে সবাই সতর্ক থাকতে হবে,দেশ কোনভাবেই পিছিয়ে যেতে পারেনা।সেখান থেকে বিকাল ৪ টার দিকে প্রবেশ করেন দ্বিতীয় টুঙ্গিপাড়া খ্যাত মাতারবাড়ীতে।মাতারবাড়ীর প্রবেশদ্বার রাজঘাটে প্রবেশ করতেই সৃষ্টি হয় এক অভাবনীয় দৃশ্যপট।। ঘরের ছেলেকে বরণ করতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন রাজঘাট বাসী।ঈদুল আযহার টানা সপ্তাহখানেক তাদেরকে সময় দিলে ও তাদের ইচ্ছে সবসময় তাদের অন্ধের যষ্ঠি তথা একমাত্র অবলম্বন ধলঘাটা-মাতারবাড়ীর আগামীদিনের স্বপ্ন সারথী সব সময় তাদের সুখ-দু:খের সারথী হোক।রাজঘাটের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও আমজনতার সাথে কুশল বিনিময় শেষে একে একে গণসংযোগ করেন নতুন বাজার,সিএনজি স্টেশন,পুরান বাজার সহ মাতারবাড়ীর বিভিন্ন অলি-গলি।গণসংযোগ শেষে বিকাল ৫ টার দিকে পুরান বাজার তিতামাঝি পাড়া নিবাসী হাজী ফয়জুল কাদেরের জানাজায় অংশ নেন।পুরান বাজার মসজিদ মাঠে অনুষ্ঠিত নামাজে জানাজার পূর্বে উপস্হিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।জানাজা পরবর্তী সন্ধ্যা ৬ টার দিকে সিএনজি স্টেশনে স্হানীয় সুধীজন,তৃণমূল কর্মী ও আমজনতার সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।মতবিনিময় সভায় উপস্হিত সুধী জনদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন””মাতারবাড়ী নামটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনেক গুরুত্ববহ। এই মাতারবাড়ীর টুঙ্গিপাড়া নামটির মর্যাদা দিতে গিয়েই তিনি মহেশখালীকে উন্নয়নের হাব ঘোষণা করেছেন,তাই প্রথম মেগা প্রকল্প এই মাতারবাড়ী দিয়েই শুরু হয়েছে।পাশাপাশি ধলঘাটা-মাতারবাড়ীর সঙ্গম স্হলে নির্মার্ণ করতে যাচ্ছেন সমুদ্র বন্দর,ধলঘাটা বিশেষ অর্থনৈতিক জোন,উন্নয়নের মহাসড়কে আমরা মাতারবাড়ী বাসী। বঙ্গবন্ধু কন্যার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হলে আমাদেরকে আরেকবার জননেত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রীয় শাসনভার অর্পণ করতে হবে।জননেত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূল খেটে খাওয়া মানুষের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা তথা গ্রামে গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক স্হাপন করে অসহায় মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দিয়েছেন,বয়স্ক ভাতা,বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা সহ বিভিন্ন ভাতা দিয়ে গরীব জনগোষ্ঠী কে একটা পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ভূমি মালিক,উক্ত ভূমির উপর নির্ভরশীল পরিবারগুলোকে পূর্ণবাসন,মেগা প্রকল্পে স্হানীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকুরী প্রদান সহ মানুষের মৌলিক দাবী গুলো নিয়ে আমি অতীতে ও আপনাদের পাশে ছিলাম এবং ভবিষ্যতে ও আপনাদের পাশে থাকব।আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে কাছ থেকে যতটুকু দেখার সুযোগ হয়েছে তাতে আমি দৃঢভাবে বিশ্বাস করি জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের স্বার্থে ত্যাগ স্বীকার করা জনগোষ্ঠী কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন এবং তাদের দাবী মেনেই উনি জমি অধিগ্রহণের নির্দেশনা দিয়ে থাকেন।তাই এ দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় রুপান্তর করতে জননেত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।শেখ হাসিনার শাসনামল উন্নয়নের মাইল ফলক হিসেবে পুরো এশিয়ায় অভাবনীয় স্হান করে নিয়েছে।তাই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হলে আবার নৌকায় ভোট দিতে হবে এবং ঘরে ঘরে সরকারের উন্নয়ন বার্তাগুলো পৌছে দিতে হবে।এ সময় উৎফুল্ল মাতারবাড়ী বাসী আবেগ প্রবণ হয়ে পড়েন এবং তাদের প্রিয় নেতাকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।মত বিনিময় সভা পরবর্তী দিনব্যাপী ব্যস্ত সময় কাটানো কর্মসূচীরর সমাপ্তি ঘটে।
দেশবিদেশ /২৯ আগস্ট ২০১৮/নেছার
Posted ১২:২৯ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৯ আগস্ট ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh