দেশবিদেশ ডেস্ক : | বৃহস্পতিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত দেশের শীর্ষ ইয়াবা ডন টেকনাফের সাইফুল করিমের ভাই রেজাউল করিম মুন্না বিপুল পরিমান ইয়াবাসহ চট্টগ্রামে আটক হয়েছে। এসময় তার সহযোগী টেকনাফের আরো দুই মাদক কারবারীকে আটক করা হয়। কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহসিন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর সোয়া ৮টার দিকে এসআই আবদুর রব, সঙ্গীয় অফিসার এএসআই মোঃ নাছের আহাম্মদ, এএসআই বাপ্পু সেন ও সঙ্গীয় ফোর্স কং ৩০৫৮ জয়নাল আবেদীন কোতোয়ালী থানা, সিএমপি, চট্টগ্রামসহ থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান ডিউটি করাকালে প্রাপ্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতোয়ালী থানাধীন পুরাতন রেলওয়ে ষ্টেশন সংলগ্ন হোটেল ফেভার ইন এর বিপরীত পার্শ্বে ফুটপাতে বশিরের মোবাইল মেরামতের দোকানের সামনে রাস্তার উপর হতে শফিকুল ইসলাম (৩৬) কে গ্রেফতার ও তার নিকট হতে ২,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ হাতেনাতে আটক করে।
আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে তাহার নাম-ঠিকানা প্রকাশসহ উক্ত ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো ধৃত ২নং আসামী টেকনাফ শীলবুনিয়া পাড়ার মৃত জাকের মিস্ত্রির ছেলে মোঃ শাহ আলম (৪৮) এর নিকট হইতে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে আনিয়া ঘটনাস্থলে অবস্থান করিতেছে মর্মে স্বীকার করে এবং আরো ইয়াবা ট্যাবলেট থাকার কথা স্বীকার করিলে এসআই আবদুর রব সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ আসামীকে সাথে নিয়া ইং ২৫ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার সময় অভিযান পরিচালনা করে হালিশহর থানাধীন এ-ব্লকের ৮নং লাইনের ৩৩নং হোল্ডিং এ্যাডভোকেট রোমেনা আক্তার এর বিল্ডিং এর ৫ম তলার ভাড়াটিয়া শাহ আলমের বাসার রুমের ভিতরের ২নং রুমের খাটের নিচে হইতে ২০,০০০ (বিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক এবং সর্বমোট ২২,০০০ পিস এ্যামফিটামিনযুক্ত ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারপূর্বক আটক করে।
ধৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো ধৃত ৩নং আসামী রেজাউল করিম প্রঃ মুন্না (৫০) এর হালিশহর থানা এলাকার বাসা হইতে চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় পাইকারীভাবে সরবরাহ করার জন্য সংগ্রহ করিয়া ধৃত ২নং আসামীর ভাড়া বাসায় মজুদ করে।
পরবর্তীতে ৩নং আসামী রেজাউল করিম প্রঃ মুন্না (৫০) কে হালিশহর থানা এলাকা হইতে গ্রেফতার করা হয়।
একটি সূত্রে জানিয়েছে রেজাউল করিম মুন্না ইতিপূর্বেও ইয়াবা সহ আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছিল ।
সে দেশের শীর্ষ ইয়াবা গডফাদার টেকনাফ শীলবুনিয়া পাড়ার সাইফুল করিমের বড় ভাই ও ডা. হানিফের ছেলে। এদের একসময় নুন আনতে পান্তা ফুরালেও ইয়াবা ব্যবসার বদৌলতে বর্তমানে রাজকীয় ভাবসাব নিয়ে চলাফেরা করে থাকে। এছাড়া টেকনাফ-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জমি-জমা, ফ্ল্যাট, গাড়ী-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ নামে বেনামে তাদের পরিবারের কয়েকশ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ রয়েছে বলেও জানা গেছে।
Posted ১২:৫৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh