দেশবিদেশ অনলাইন ডেস্ক | বুধবার, ১৫ আগস্ট ২০১৮
শিক্ষক একবার তাঁকে ডেকে বলেছিলেন, নগ্ন আলোকচিত্রের মডেল হতে পারবে? রাজি হয়ে গিয়েছিলেন ২০ বছর বয়সী ম্যাডোনা। এক দিন নয়, দুই দিন। তখন সাদা-কালো ছবির সময়। এই ক্লাউড স্টোরের যুগে এসে সেই ছবি লাখ লাখ টাকায় বিক্রি করেছিলেন সেই আলোকচিত্রী মার্টিন এইচ এম শ্রাইবার।আলোকচিত্রী মার্টিন এইচ এম শ্রেইবার ২০ বছর বয়সের ম্যাডোনা ছবি তোলার পর প্রেমে জড়িয়ে যান তাঁরা। শ্রাইবার এখন ৭২, ম্যাডোনা ৬০। এতকাল পরে এসে সুপারস্টার প্রেমিকাকে নিয়ে শ্রাইবার বলেছেন, ‘আগুন ছিল মেয়েটার ভেতরে। সে এতটাই রূপবতী আর সাহসী ছিল যে, আমি তাঁর প্রেমে পড়ে যাই। আবারও যদি সে আমাকে ছবি তুলতে দিত, তাহলে বোঝাতে পারতাম, সে এখনো কত রূপবতী ও আবেদনময়ী।’
তারুণ্যকে থেকে থেকে ঝাঁকুনি দিয়েছেন ম্যাডোনা। তাঁর স্টাইল মানেই খোলামেলা পোশাক, অ্যালবামের নাম আর গানের কথায় ব্যতিক্রম সাহস আর উসকানি সহ্য করে এসেছেন তরুণেরা। এখনো তিনি আবেদনময়ী! এখনো উজ্জ্বল। বিশের তরুণীর মতো ধরে রেখেছেন শরীরের গড়ন, ফ্যাশনে এখনো নিজস্বতা। জীবন তাঁকে যা দিয়েছে, তিনি যেন জীবনকে দিয়েছেন তারও চেয়ে বেশি। অ্যালবামের প্রায় সব কটি হিট। সিনেমাগুলোও হিট, শিশুদের জন্য লিখেছেন বই, এমনকি নিজেও সিনেমা পরিচালনা করেছেন।
বিভিন্ন বয়সে ম্যাডোনা। অনেকের ধারণা, মা-হারা ম্যাডোনার সংগ্রামই তাঁকে সাফল্যের বর দিয়েছে। স্কুলে পড়াকালীন নাচ করতে চেয়েছিলেন। প্রশিক্ষণ নেওয়া, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়ার পর নাচের তৈরি ক্যারিয়ার ছেড়ে চলে আসেন গানে। ১৯৮০ সালে ‘গিলরয়’ দলের সদস্য হিসেবে গান করলেও পরে একক শিল্পী হিসেবে শুরু করেন নিজের ক্যারিয়ার। ১৯৮৩ সালে প্রকাশিত হয় ম্যাডোনার প্রথম একক অ্যালবাম ‘ম্যাডোনা’। তাঁর পরের অ্যালবামগুলো ‘লাইক আ ভার্জিন’ ‘ট্রু ব্লু’, ‘লাইক আ প্রেয়ার’, ‘এরোটিকা’, ‘বেডটাইম স্টোরিজ’, ‘রে অব লাইট’, ‘মিউজিক’, ‘আমেরিকান লাইফ’, ‘কনফেশনস অন এ ড্যান্স ফ্লোর’, ‘হার্ড ক্যান্ডি’, ‘এমডিএনএ’ এবং ‘রেবেল হার্ট’সহ মোট ১৪টি। ‘এভিটা’, ‘আ লিগ অব দেয়ার ওন’, ‘আম গোয়িং টু টেল ইউ আ সিক্রেট’, ‘ফিলথ অ্যান্ড উইজডম’, ‘বডি অব এভিডেন্স’সহ অনেকগুলো ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
আগস্ট এই তারকার ৬০তম জন্মবার্ষিকী। সংগীতে তাঁর সাফল্যের পেছনের মন্ত্র কী? ম্যাডোনা বলেছেন, ‘পুরুষেরা তোমাকে যেমন চায়, তেমন হও। কিন্তু তার থেকেও জরুরি হচ্ছে, নারীরা যেন তোমার সঙ্গ পছন্দ করে।’ বয়স যখন শরীরে আঁচড় কাটতে শুরু করেছে, নারী শিল্পীদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘বয়স বাড়িয়ো না। বয়স বাড়া একটা পাপ। বয়স বাড়লে তোমার সমালোচনা হবে, নিন্দা হবে, এমনকি রেডিওতে তোমার গান চালাবে না কেউ। সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস
দেশবিদেশ /১৫ আগস্ট ২০১৮/নেছার
Posted ১১:১৬ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৫ আগস্ট ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh