বার্তা পরিবেশক | রবিবার, ০৪ নভেম্বর ২০১৮
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র মুজিবুর রহমান বলেছেন, “জেলহত্যা দিবস বাঙালীর জাতীয় জীবনে কলঙ্কময় একটি দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার মাত্র আড়াই মাসের মাথায় ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতা-বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রীসভার সদস্য ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। প্রতিটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকা-ের নেপথ্যে কাজ করে সুদূরপ্রসারী কিছু উদ্দেশ্য। আর জাতীয় চার নেতা হত্যাকান্ডের মূল উদ্দেশ্যও ছিলো বাঙ্গালী জাতিকে নেতৃত্ব শূণ্য করা। যা বাঙালি এখনো হারে হারে উপলব্ধি করছে।” শনিবার বিকেলে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরীর শহীদ দৌলত ময়দানের সাংবাদিক নুরুল ইসলাম মঞ্চে পৌর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জেলহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জননেতা মুজিব আরো বলেন, “জেলখানার মতো নিরাপদ একটি জায়গায় এমন নির্মম হত্যাকা-ের প্রকৃত সত্য জাতির সামনে এখন স্পষ্ট। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনি জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে ষড়যন্ত্রকারীরা জাতীয় চার নেতাকে তাদের সরকারে যোগদানের প্রস্তাব দিয়েছিলো। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এই জাতীয় চার নেতা ওই প্রস্তাবকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করায় তাদের নিমর্মভাবে জীবন দিতে হয় সেদিন। কারন বীরেরা কখনো বেঈমানী করেনা তাই বুকের তাজা রক্ত দিয়ে ৩ নভেম্বরকে বাঙ্গালির কালো অধ্যায় রচনা করেছিলেন এই চার নেতা। আল্লাহ তাদের বেহেস্ত নসিব করুন।”
পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর ও এবি ছিদ্দিক খোকনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, এডভোকেট রনজিত দাশ, মাহবুবুল হক মুকুল, কাজী মোশতাক আহমদ শামীম, জিএম কাশেম, মিজানুর রহমান, জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শফিউল্লাহ আনসারী, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক সোহেল, জেলা যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী আয়েশা সিরাজ, সাধারণ সম্পাদক তাহমিনা চৌধুরী লুনা ও জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ হোসাইন তানিম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফাতেমা জলিল সাথী, সাংস্কৃতিককর্মী জাহেদ সরওয়ার সোহেল, পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসিফ উল মওলা, নাজমুল হোসাইন নাজিম, সাইফুল ইসলাম, সেলিম নেওয়াজ, ডা. পরিমল দাশ, রফিক মাহমুদ, কাউন্সিলর কাজী মোরশেদ আহম্মদ বাবু, হাসান মেহেদী রহমান, সাহেদ আলী, সদর যুবলীগের সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন পুতু, পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ডালিম বড়–য়া, আসাদ উল্লাহ, সাহেদ মুহাম্মদ এমরান, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা ওসমান গণি টুলু, আহমদ উল্লাহ, নুরুল আলম পেটান, ওয়াহিদ মুরাদ সুমন, আবদুল্লাহ আল মাসুদ, আজিমুল হক আজিম, জানে আলম পুতু, দেলোয়ার হোসেন জান্নু, বজল আহমদ, তাজ উদ্দিন তাজু, জিয়াউল্লাহ চৌধুরী, হাবিব উল্লাহ, জাফর আলম, সেলিম ওয়াজেদ, দুলাল দাশ, খোরশেদ আলম রুবেল, মেজবাহ উদ্দিন কবির, নুর মোহাম্মদ, আবদুল মজিদ সুমন, সদর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কাজী তমিজ উদ্দিন, শহর ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান ইকবাল রিপন, রাশেদুল ইসলাম ডালিম, এম জসিম উদ্দিন, রবিউল ইসলাম সাহেদ ও আমির উদ্দিন।
এদিকে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড থেকে শুরু করে জেলহত্যার ঘটনাসহ স্বাধীন বাংলাদেশে নানা ধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা হয়েছে বারবার। আর এ জন্যই জামায়াত-বিএনপিসহ সব ধরনের অপশক্তির মূলোৎপাটনের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহন করতে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনাকে চতুর্থবারেরমতো আবারো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে নৌকায় ভোট দেয়ার আহবান জানান আলোচনা সভার সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত: ইতিহাসের এই নিষ্ঠুর হত্যাকা-ের ঘটনায় শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, স্তম্ভিত হয়েছিল সমগ্র বিশ্ব। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় বর্বোরচিত এ ধরনের হত্যাকা- পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
Posted ১২:৪৮ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৪ নভেম্বর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh