দেশবিদেশ অনলাইন ডেস্ক | বুধবার, ০৪ জুলাই ২০১৮
রোহিঙ্গা সংকটের সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আলোচনা করতে আগামী শুক্রবার ৬ জুলাই রাজধানী আঙ্কারায় একটি আন্তর্জাতিক বৈঠকের আয়োজন করেছে তুরস্ক। বুধবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘোষণা দেয়।
ঘোষণার সময় মন্ত্রণালয় মনে করিয়ে দেয় যে তারা রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বরাবরই সচেষ্ট ছিল তুরস্ক। মানবিক এই সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় তারা।
এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘আমরা মানবিক এই সংকট উত্তরণে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক এই বৈঠকের আয়োজন করতে যাচ্ছি। এতে করে সহচিন্তার দেশ ও সংগঠনগুলো একসঙ্গে বসে আলোচনা করতে পারবে।’
এতে অংশ নিচ্ছে তুর্কি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, তুর্কি রেড ক্রিস্টে সোসাইটি ও তুর্কি কোঅপারেশন কোঅর্ডিনেশন এজেন্সি (টিকা)।
গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। জাতিগত নিধন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা। জাতিসংঘ এই ঘটনাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ বলে আখ্যা দিয়েছে।
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দুর্ভোগ-দুর্দশা সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করতে গিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিন এরদোয়ান। রোহিঙ্গাদের দুর্দশা শুনে এক পর্যায়ে কেঁদে ফেলেন তিনি। রোহিঙ্গাদের সহায়তার আশ্বাসও দেন।
মিয়ানমার শুরু থেকেই রোহিঙ্গাদের বাঙালি মুসলিম আখ্যা দিয়ে নাগরিকত্ব অস্বীকার করে আসছে। তবে এবারের ঘটনায় আন্তর্জাতিক চাপ জোরালো হওয়ার একপর্যায়ে প্রত্যাবাসন চুক্তিতে বাধ্য হয় মিয়ানমার। তবে সেই চুক্তির আওতায় এখনও একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেয়নি মিয়ানমার। এরমধ্যেই গত ৬ জুন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রশ্নে মিয়ানমারের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে জাতিসংঘ। তবে সেখানেও নাগরিকত্ব প্রশ্নটি উপেক্ষিত।
Posted ৯:৪২ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৪ জুলাই ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh