শনিবার ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
শিরোনাম

শামলাপুরে জজ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ 

বার্তা পরিবেশক   |   রবিবার, ১৬ জুলাই ২০২৩

শামলাপুরে জজ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ 

টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি জবরদখল করে গ্যাস পাম্প স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় জবরদখলকারীদের সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় আতঙ্কে দিন কাটছে ভুক্তভোগী জমির মালিকদের।

জমি দখলের এমন অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজার ফজল মার্কেটের মালিকের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম ও শামলাপুর নয়াপাড়ার  ইউনুস গংয়ের বিরুদ্ধে। কক্সবাজার শহর থেকে শামলাপুর গিয়ে ইউনুসের যোগসাজসে আনোয়ার জমি দখল করছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগী অ্যাডভোকেট আয়াত উল্লাহ খোমেনী জানান, স্থানীয় অছি উদ্দিন, নুরুন্নাহার বেগম ও মরিয়ম খাতুন ২৩৮৩ নম্বর বায়নামূলে ০.৭২২৯ একর জমি আমাকে রেজিস্ট্রি দেন। পরে এ জমির অন্যান্য ওয়ারিশরা জমি রেজিস্ট্রি না দিলে বাদী অ্যাডভোকেট আয়াত উল্লাহ খোমেনী বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতে অপর ২৬৭/১৩ইং নম্বর মামলা দায়ের করেন।  মামলা চলাকালীন অছি উদ্দিন মারা গেলে নুরুন্নাহার এবং মরিয়ম খাতুন লিখিত বর্ণনা দাখিল করেন এবং সোলে রায় ডিক্রি মূলে ০.২৫৯৫ একর জমি আমি পাই।’

তিনি বলেন, ‘অপর জারি ৩/২০১৭ নম্বর মামলামূলে বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা আদালতের বিচারক গত ২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর ২৭৮৪ নম্বর কবলায় দলিল রেজিস্ট্রি দেন। পরে এ জমির অন্যান্য ওয়ারিশরা ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর  রেজিস্ট্রির ২৭৪৫ নম্বর কবলা দলিলমূলে ০.০৮৭৫ একর জমি আমাকেসহ, কেফায়েত উল্লাহ, হাফেজ আহমেদ, হেলাল উদ্দিন, জালাল উদ্দিন, শাহ আলম ও আসমাউল হুসনাকে বিক্রি করেন।’

অ্যাডভোকেট আয়াত উল্লাহ খোমেনী আরো বলেন, ‘পরে আমি সোলেনামা মূলে প্রাপ্ত ০.২৫৯৬ একর জমি নিজ নামে নামজারি জমাভাগ ৩৮৩২ নম্বর খতিয়ান সৃজন করি। এরপর ০.২৫৯৬ একর জমি এবং ০.০১৭৬ একরসহ মোট ০.২৭৭২ জমি নিয়ে বিজ্ঞ টেকনাফ সহকারী জজ আদালতের বিভাগে ৬৯/২২ মামলা চলমান রয়েছে। এরইমধ্যে  আনোয়ারুল ইসলাম এবং ইউনুস আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ওই জমি, শাহ আলম গং এর ০.০৮৭৫ একর জমিসহ মোট ০.৩৪৭১ একর জমি জোরপূর্বক দখলের মাধ্যমে গ্যাস পাম্প স্থাপন করেছেন। অথচ তাদেরকে আদালত জবরদখলের বিরুদ্ধে ৭দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশও দিয়েছেন। সেই আদেশের তোয়াক্কা না করে জমি দখলে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তারা। এবং প্রকৃত মালিক আমরা যারা রয়েছি তাদের নানাভাবে হুমকি, ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের বাহুবল এবং কালো টাকার কাছে আমরা অসহায়।’

এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে টেকনাফ সহকারী জজ আদালতে বিভাগ এবং নিষেধাজ্ঞার মামলা দায়ের করে অ্যাডভোকেট আয়াত উল্লাহ খোমেনী। যার মামলা নম্বর ৬৯/২০২২ ইং। এরপর ওই জমিতে বিজ্ঞ আদালত বিগত ২০২২ সালের ২৩ মার্চ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন এবং বিগত ২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল ৫ নম্বর আদেশমূলে নিষেধাজ্ঞার আদেশ বাস্তবায়নের জন্য এবং  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা টেকনাফ থানাকে নির্দেশ দেন।   এরপরও অভিযুক্ত আনোয়ারুল ইসলাম এবং ইউনুস আদালতের আদেশ অমান্য করে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকা সত্ত্বেও নালিশী জমিতে জোরপূর্বক গ্যাস পাম্প স্থাপন করেন।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘সেখানে পাম্প করা হয়েছে সত্য। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে জানতাম না। বিষয়টি আমি দেখতেছি।’

অভিযুক্ত ইউনুস বলেন, ‘আমার সম্পূর্ণ আইনি কাগজপত্র আছে বলে জায়গাটিতে কাজ করতে পারছি। আপনারা এসে আমার কাছে থাকা কাগজপত্র গুলো দেখে বলবেন জায়গাটি আমার।

ওই নালিশী জায়গার মামলা চলমান থাকার পরও টেকনাফ জজ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেন স্থাপনা করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে ইউনুস বলেন, ‘জায়গা জমির মামলা তো থাকবেই। আমি আইন অমান্য করিনি। কাগজপত্র, প্রমাণদি আছে বলে আমার জায়গায় আমি কাজ করছি।’

এ ব্যাপারে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হালিম বলেন, ‘এই বিষয়টি হয়তো আমার আগের কর্মকর্তা দেখেছিলেন। এরপরে আমার নিয়োগের পর অফিসিয়াল বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে বিষয়টি মনে ছিল না। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

Comments

comments

Posted ৭:৩২ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৬ জুলাই ২০২৩

dbncox.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(591 বার পঠিত)

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

প্রকাশক
তাহা ইয়াহিয়া
সম্পাদক
মোঃ আয়ুবুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়
প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত এবং দেশবিদেশ অফসেট প্রিন্টার্স, শহীদ সরণী (শহীদ মিনারের বিপরীতে) কক্সবাজার থেকে মুদ্রিত
ফোন ও ফ্যাক্স
০৩৪১-৬৪১৮৮
বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন
01870-646060
Email
ajkerdeshbidesh@yahoo.com